বিজ্ঞাপন

৮ তারিখেই তফসিল চায় যুক্তফ্রন্ট

November 6, 2018 | 6:33 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ৮ নভেম্বরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জোট যুক্তফ্রন্ট। একইসঙ্গে জোট থেকে বলা হয়েছে, বর্তমান কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না— কমিশনের বক্তব্যে তা মনে করছে না জোটটি। কমিশনের দৃঢতা দেখে যুক্তফ্রন্ট মনে করছে, এই কমিশনের প্রতি আস্থা রাখা যায়।

মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ৮ তারিখেই তফসিল চাই। অকারণে তফসিল পেছানো হলে নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দেবে। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা ভালো না। ২০০৬ সালের অভিজ্ঞতা আমরা দেখেছি। তফসিল পেছানো হলে বিভিন্ন ধরনের অপশক্তি সুযোগ পাবে।’

বিজ্ঞাপন

বিকল্পধারা মহাসচিব আরও বলেন, আমরা কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছি এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তারিখ পরিবর্তন হওয়া কোনো  সম্ভাবনা রয়েছে কি না। জবাবে ইসি বলেছে, তফসিল পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা বলেছি, সরকার কিংবা অন্য কোনো পক্ষ থেকে চাপ এলেও যেন তফসিল পেছানো না হয়। জবাবে কমিশন বলেছে, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। আর চাপ এলেও কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কারণ, কমিশন স্বাধীন একটি সংস্থা। কমিশন কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে দায়বদ্ধ। তাই কমিশন পূর্বঘোষণা অনুযায়ী যথাসময়ে  তফসিল ঘোষণা করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন পেছানোর দাবি তো করিইনি, বরং উল্টো বলেছি, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যেই যেন নির্বাচন করা হয়। অকারণে যেন নির্বাচন পেছানো না হয়।

একটি জোট তফসিল ঘোষণার তারিখ পেছানোর দাবি করেছে, আপনারা তার উল্টা দাবি করছেন কেন— এমন প্রশ্নের জবাবে বিকল্পধারা মহাসচিব বলেন, তাদের দাবির উল্টোটা আমরা করিনি। আমরা জনগণের  প্রত্যাশা অনুযায়ী দাবি করছি, নির্বাচন পেছানোর কোনো যুক্তি নেই, কোনো সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে যুক্তফ্রন্টের অবস্থান জানতে চাইলে মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেন, সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে রাখা হলে দেখা যায় সেনাবাহিনী রাস্তার পাশে কিংবা গাড়িতে বসে থাকে। এতে করে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলেও তাদের খুর একটা কিছু করার থাকে না। কারণ অনিয়ম হয় ভোটকেন্দ্রে। সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে রাখা হলে অনিয়ম দূর করা সম্ভব নয়। তাই আমরা দাবি করেছি, প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে।

তিনি বলেন, আমরা বলছি, এটা জনগণের প্রত্যাশা। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের যে আস্থা রয়েছে, সেই আস্থা অন্য কোনো বাহিনীর ওপর নেই। জনগণের আস্থা মূল্যায়ন করে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছি। আমরা দাবি করেছি, অনিয়ম হলে সেনাবাহিনী যেন যে কাউকে আইনের আওতায় আনতে পারে, সেই ক্ষমতা তাদের দিতে হবে।

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে বিকল্পধারা মহাসচিব বলেন, কয়েকটি কেন্দ্রে সীমিতসংখ্যক কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে কেন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে, সেই প্রশ্ন আমরা ইসির কাছে রেখেছি। সব কেন্দ্রে ব্যবহার করলে সেটা একরকম হতো। তাই আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেও ইভিএম ব্যবহার না করার জন্য বলব। আমরা প্রধানমন্ত্রীকেও একই কথা বলেছি, যেন আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা হয়।

সারাবাংলা/জিএস/একে/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন