বিজ্ঞাপন

পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করতে পারেন ট্রাম্প

November 28, 2018 | 1:16 pm

।।আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

বিজ্ঞাপন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় একটি বৈঠক বাতিল করে দিতে পারেন মার্কিন  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার (২৫ নভেম্বর) কৃষ্ণ সাগর ও আযভ সাগরের মধ্যবর্তী কার্চ প্রণালীতে ইউক্রেইনের তিনটি জাহাজ আটক করেছে রাশিয়া। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন বৈঠকটি বাতিল করতে পারেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। খবর বিবিসির।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) ওয়াশিংটন পোস্টকে ট্রাম্প বলেন, রোববার রাশিয়া ইউক্রেইনের তিনটি জাহাজ আটকের বিষয়ে একটি পূর্ণ প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছেন।

চলতি সপ্তাহে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেস শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- জাহাজ আটক নিয়ে ইউক্রেইনে রাশিয়া বিরোধী বিক্ষোভ

এদিকে রোববারের ঘটনার পর ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি ইউক্রেইনকে আরও সমর্থন দেওয়ার আহবান জানান ট্রাম্প। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ের্ট বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা দেখতে চায় ওয়াশিংটন।

ট্রাম্প দ্য পোস্টকে বলেন, তার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক দল থেকে আসা প্রতিবেদনটির ওপর ভিত্তি করে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রতিবেদনটি খুবই সুনির্দিষ্ট হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, হয়তো আমি বৈঠকটি করবো না। আমি আগ্রাসন পছন্দ করি না। আমি এ ধরণের আগ্রাসন একদমই চাই না।

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন বল্টন বলেন, অনুষ্ঠেয় বৈঠকটিতে দুই নেতা নিরাপত্তা, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ইউক্রেইন ইস্যু ও মধ্যপ্রাচ্যের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে।

রাশিয়া- ইউক্রেইন ইস্যু

রোববার কার্চ প্রণালীতে  ইউক্রেইনের দু’টি বন্দুকজাহাজ ও একটি টানাজাহাজের ওপর গুলি চালিয়েছে ও জাহাজগুলো আটক করেছে। পাশাপাশি জাহাজগুলোর ২৪ কর্মীকেও আটক করেছে। ইউক্রেইনের নৌবাহিনী জানিয়েছে, এই ঘটনায় জাহাজগুলোর অন্তত ছয় কর্মী আহত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার ভাষ্য, আহতের সংখ্যা তিন।

পরবর্তীতে রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ার এক আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, আটককৃত ইউক্রেনীয়দের মধ্যে ১২জনকে ৬০দিন আটকে রাখা হবে। বাকিদের ব্যাপারে আজ বুধবার (২৮ নভেম্বর) রায় দেওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিক্রিয়া

রোববারের ঘটনাকে রাশিয়ার আগ্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে ইউক্রেইন। ঘটনার  পরপরই ইউক্রেইনের রাজধানী কিয়েভে রুশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে দেড় শতাধিক বিক্ষোভকারী। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দূতাবাসের একটি গাড়ি। সোমবার পরিস্থিতি শান্ত করতে সামরিক শাসন জারি করেছে ইউক্রেইন।

এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে এক জরুরী বৈঠকে বসেছে। বৈঠকে পরিষদের উদ্দেশ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেইনের জাহাজ আটক করার ঘটনা অঞ্চলটিতে ইউক্রেইনের সার্বভৌমত্বের ভয়ানক লঙ্ঘন।

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রাশিয়ার এই দাম্ভিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এরকম আইন বহির্ভূত পদক্ষেপের কারণেই ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে না।

ঘটনাটি নিয়ে রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেইনের তিনটি জাহাজ রাশিয়ার জলসীমানায় অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল। এরপরই সেগুলোকে আটক করা হয়।

কিন্তু ইউক্রেইন জানিয়েছে, তাদের জাহাজগুলো কোন অবৈধ কাজ করেনি। জাহাজ আটকের ক্ষেত্রে তারা রুশ সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনকে দায়ী করেছে।

সারাবাংলা/ আরএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন