সরকারকে জবাব দেবে জনগণ: নজরুল ইসলাম খান

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে খুন, গুম, হত্যা, মামলার জবাব জনগণ দেবে বলে জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত ‘সার্বজনীন ন্যায়বিচার, বাক স্বাধীনতা, অবাধ গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলে।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মনস্থির করেছে তারা ভোটকেন্দ্রে যাবে, এবং তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবে। আর এতে আমরা আশা করি ধানের শীষের জয় হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজারও যুক্তি থাকার পরও নিম্ন আদালত তার মুক্তি অসম্ভব করে তুলেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতে জামিন হওয়া সত্বেও নিম্ন আদালত সরকারে অধীনে, অর্থাৎ এই কাজটা করেছে সরকার। সরকার খালেদা জিয়াকে বের হতে দিচ্ছে না। কারণ তারা তার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলা দেবে। পরে উচ্চ আদালত যদি আমাদের জামিনও দেন এতে সরকার পক্ষ সন্তুষ্ট না। আমাদের জেলেই পাঠাতে হবে। কারণ নির্বাচন সামনে আমাদের এই নেতাকর্মীদের যদি জেলে দেওয়া না হয়, তাদের নির্বাচনে জয়ের কোনো সুযোগ নাই।’

দলটির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, ‘সরকার ভেবেছিল বেগম জিয়াকে জেলে নিলে বিএনপি ভেঙে যাবে। কিন্তু না বিএনপি আগের অনেক চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং তারা এক জোটে সংঘবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এর মধ্যে দুই-এক জন আছেন, যারা সরকারের বিরুদ্ধে কড়া কড়া কথা বলেছেন, এখন দেখি তারা সরকারের কোলে বসে আছে। তাদের এমপি হবার এতোই শখ, এতোই আনন্দ যে তার জন্য এতো দিনের কথা সব বদলাতে হলো। তাতে আমাদের কিছুই আসে যাবে না, কারণ সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক দেশের জনগণ।’

প্রতীক বরাদ্দের পর নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার এই সুযোগ সৃষ্টিতে বাধা দেবে, কারণ তারা জানে তাহলে তাদের জেতার কোনো সুযোগ নাই। যদি এমন হয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এ বাধা অতিক্রম করতে হবে।’

সরকারের সমলোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন, অন্যজনকে কারাগারে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় মানবাধিকার সনদের সঙ্গে কোনোভাবে সামঞ্জস্য হয় না। সব মানুষের সমান অধিকার এটা হচ্ছে মানবাধিকারের মূল কথা কিন্তু মানুষকে সমান অধিকার এই সরকার দিচ্ছে না।’

সারাবাংলা/এসও/এমও