December 18, 2018 | 10:45 am
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রুশ হস্তক্ষেপের পরিধি ব্যাপক বিস্তৃত ছিল। পূর্বে হস্তক্ষেপের মাত্রা যেমনটা ভাবা হয়েছিল তার আদতে তার চেয়ে বহুগুণ বেশি ব্যবহৃত হয়েছে মাধ্যমগুলো। নির্বাচনের সময় সকল প্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আমেরিকানদের জাতিবিদ্বেষ ও চরমপন্থি আদর্শ দিয়ে বিভক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছে রাশিয়া। একটি বেসরকারি বিশেষজ্ঞ দল তাদের একাধিক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) মার্কিন সিনেটরদের একটি দ্বিপাক্ষিক দল প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ করেছে। একটি প্রতিবেদন লিখেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক বিশ্লেষণাত্মক প্রতিষ্ঠান ‘নিউ নলেজ’ ও অপর একটি প্রতিবেদন লিখেছে বিশ্লেষণাত্মক সংস্থা গ্রাফিকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি যৌথ দল।
প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের আগেই এগুলোতে উল্লেখিত তথ্যের সত্যতা আগেই নিশ্চিত করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কিন্তু প্রতিবেদনগুলোতে সেসব তথ্যের বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনগুলোয় বলা হয়েছে, রুশ সরকারের ইন্টারনেট রিসার্চ এজেন্সি মার্কিন রাজনীতি প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ নিউ নলেজের প্রতিবেদন অনুসারে, একটি রুশ ট্রল সংস্থা ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
আল জাজিরার ওয়াশিংটন প্রতিবেদক এলান ফিশার বলেন, তারা যেটা করতে চেয়েছে সেটা হচ্ছে যেসব জায়গায় বিভেদ বিদ্যমান ছিল সেসব জায়গায় জনমত আরও বিভক্ত করা।
মার্কিন সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান রিচার্ড বুর বলেন, নতুন প্রতিবেদনগুলো থেকে বোঝা যায় রাশিয়া কিভাবে আমেরিকানদের জাতি, ধর্ম ও আদর্শ আগ্রাসীভাবে ব্যবহার করে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, রুশ সংস্থাগুলো মার্কিন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশ্বাস নষ্ট করতে কাজ করেছে। আর সেসব সংস্থার কাজ এখনও চলছে।
এদিকে কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট মার্ক ওয়ার্নার বলেন, এই প্রতিবেদনগুলো থেকে দেখা যায় যে, রাশিয়া আমাদের সমাজের ভুলগুলো ব্যবহার করে আমেরিকানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছে এবং আমাদের গণতন্ত্রের মান ক্ষুন্ন করতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, এই হামলাগুলো বেশ সুসংগঠিত, হিসেব কষে করা ও আমরা পূর্বে যেমনটা ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত।
সারাবাংলা/ আরএ