বিজ্ঞাপন

পেশাগত সক্ষমতা বাড়াতে সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্রের যাত্রা শুরু

February 8, 2019 | 1:02 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রচার মাধ্যমের কর্মীদের পেশাগত সক্ষমতা বাড়ানোসহ কর্মপরিবেশ ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যাত্রা শুরু করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) বা সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে কর্মরত কর্মীদের কল্যান  বিশেষ করে অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার মত সংকটে তাদের পাশে দাঁড়ানো, ঝুঁকি মোকাবিলাসহ গবেষণা ও নীতি সহায়তায় কাজ করবে এই কেন্দ্রটি।

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলানায়তনে সম্প্রচার সম্মেলনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় এই কেন্দ্রের। সকাল সোয়া ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মেলন ও কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রেজওয়ানুল হক, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, সারাবাংলা ডটনেট, দৈনিক সারাবাংলা ও জিটিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাসহ অন্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের কল্যান,অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ানো ও নীতি সহায়তার মত লক্ষ্যকে সামনে রেখে সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র যেন কার্যকরভাবে এগিয়ে যেতে পারে, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা। সম্প্রচার সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের সবাই যেন এই প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজেদের লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, সেটিই আমাদের আশা।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে প্রচারের সময় বিদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার আইনত অপরাধ। এটি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।

নতুন সরকার গঠনের পর মন্ত্রিপরিষদের প্রথম সভায় নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রথম বৈঠকে নতুন করে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী সেটির অনুমোদন দিয়েছেন। নবম ওয়েজ বোর্ডের ভেতরে সম্প্রচার সাংবাদিকদের বেতনের ক্ষেত্রে আলাদা নীতিমালা করার কথা বলা আছে। টেলিভিশনগুলোতে যেন সঠিক সময়ে বেতন হয়, সে বিষয়ে মালিকদের নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশে প্রাইভেট চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়েছে। ১৯৯৬ সালে যখন তিনি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন তখন প্রথম প্রাইভেট চ্যানেল যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে দেশে ৩০টিরও বেশি সম্প্রচারমাধ্যম কাজ করছে, ৪৪টি সম্প্রচারমাধ্যম অপেক্ষমাণ আছে। এই সংখ্যা পশ্চিম বাংলার থেকেও বেশি।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ গণমাধ্যম যথেষ্ট স্বাধীনভাবে কাজ করছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অনেক নীতিমালা করা হয়েছে।

পরে ‘সম্প্রচার শিল্প: একটি সম্ভাবনার সংকট’ প্রতিপাদ্যে এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সারাবাংলা ডটনেট, দৈনিক সারাবাংলা ও জিটিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, নাগরিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক, একাত্তর টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদসহ অন্যরা।

অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা সংগঠনটি সাংবাদিকদের কল্যানে কিভাবে কাজ করবে তা তুলে ধরেন। তারা জানান, এটি মূলত সাংবাদিকদের কল্যানে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা বাড়াতেও কাজ করবে এই সাংবাদিক সম্প্রচার কেন্দ্র। এসময়  টিভি চ্যানেলগুলোর বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা তাদের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। অনেকেই সমস্যা সমাধানে মঞ্চে বসা সিনিয়র সাংবাদিকদের কিছু পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।

তিন পর্বে সাজানো অনুষ্ঠান চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে দিনভর চলা এই আয়োজন পরিণত হয় সাংবাদিকদের  মিলনমেলায় ।

সারাবাংলা/কেকে/টিআর/জেডএফ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন