February 11, 2019 | 9:41 pm
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ইপিজেড শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশ, ২০১৯’কে আইনে রূপ দিতে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯’ নামে একটি বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি উত্থাপনের আগে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম আপত্তি জানালে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
ইপিজেড শ্রম আইনের মতো একই রকমের শতাধিক আইন ও অধ্যাদেশ রয়েছে মন্তব্য করে ফখরুল ইমাম ‘শ্রম আইন ২০০৬’সহ বেশ কয়েকটি আইনের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আইনটির কোনো প্রয়োজন নেই। এ ধরনের আইনে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। এই আইনের বিষয়গুলো বিদ্যমান আইনেই আছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে যে মন্ত্রী বিলটি উত্থাপন করছেন, তিনি হয়তো এটা জানেন না। একই রকম বিষয়ে বিভিন্ন আইনের কারণে একেক রকম শাস্তি হয়। পরে তিনি বিলটি সংসদে উত্থাপন না করার আহ্বান জানান।
জবাবে বিল উত্থাপনের প্রস্তাবকারী মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তার বক্তব্যের কোনো জবাব না দিয়ে বলেন, সংসদ সদস্য নিজেই বলেছেন, অনেকগুলো অধ্যাদেশ আছে। আগে বিলটি আগে সংসদে আসুক, তারপর আইন নিয়ে কোনো বক্তব্য বা সংশোধনী থাকলে তিনি তা দেবেন।
মন্ত্রী বিলটি উত্থাপনের পক্ষে অবস্থান নিলে পরে স্পিকার বিষয়টি ভোটে দেন। কণ্ঠভোটে আপত্তি নাকচ হওয়ার পর বিলটি উত্থাপন করেন মন্ত্রী। বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (বেপজা) ইপিজেড এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগ, মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরির হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কাজের সময় দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্য এবং শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন ও ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্ক বিষয়ক বিদ্যমান আইন সংশোধন ও সংহত করতে বিলটি আনা হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর