বিজ্ঞাপন

দখল হয়ে যাওয়া নদীর তালিকা চায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় 

March 14, 2019 | 2:03 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জেলা প্রশাসকদের কাছে দেশের দখল হয়ে যাওয়া নদীর তালিকা চেয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এ কথা জানিয়েছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম।

বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

উপমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নদীগুলোকে দখল, দুষণমুক্ত করবোই করবো। এ লক্ষে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এনামুল হক শামীম বলেন, বাংলাদেশের অনেকগুলো নদী আছে, যেগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নদীগুলোকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অতীতে কোনো সরকার নদী রক্ষার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শেখ হাসিনার সরকার নদী দখলমুক্ত করতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে নৌ-পরিবহন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নদীগুলো দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান উপমন্ত্রী।

দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের মাথায় নড়িয়া, হাতিয়া, নাগরপুর, রাজবাড়ী, আনোয়ারাসহ কমপক্ষে ১০টি নদীভাঙ্গণ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, সেখানে বর্ষার আগেই ভাঙ্গন রোধে যা যা করণীয় তাই করা হচ্ছে।

এনামুল হক শামীম বলেন, নদীগুলোকে দখল, দুষণমুক্ত করতে হলে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক উদ্যোগ জরুরি। যারা নদী দখল করে তারা সংশ্লিষ্ট এলাকারই মানুষ। নদীর পাড়ে যারা বসবাস করেন তাদের দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা যখন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি তখন সহায়তা করতে হবে। নদী দখলদারদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

নদীর পানিকে দূষিত না করতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান এনামুল হক শামীম। তিনি বলেন, ‘নদী মরলে বাংলাদেশ মরবে, দেশের মানুষ মরবে। নদীর পানিতে বর্জ্য পদার্থ ফেলবেন না। পানিকে দূষিত করবেন না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নদীকে দখলমুক্ত, দুষণমুক্ত করে সুপেয় করবোই ইনশ’আল্লাহ।’

হাজী মো. মাসুদ খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন শাহাদৎ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সারাবাংলা/এনআর/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন