বিজ্ঞাপন

নেত্রকোনার দুই রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

April 24, 2019 | 11:51 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: যুদ্ধাপরাধের মামলায় নেত্রকোনার আটপাড়া থানার সোহরাব ফকিরসহ দুই রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মোট তিনটি অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন ৩ বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলী (৮৮) ও তৎকালীন শান্তি কমিটির সদস্য রাজাকার হেদায়েত উল্লাহ ওরফে মো. হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি (৮০)।

এর আগে গত ৭ মার্চ শুনানি শেষ করে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী ও তাপস কান্তি বল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আব্দুর শুক্কর খান।

রায় ঘোষণা শেষে মোখলেছুর রহমান বাদল বলেন, ‘ওই ট্রমাগুলো আজও এই দেশের মানুষ বহন করে চলছে। আগামীদিনেও যাতে এইরকম কোনো গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত না হয় সেই বিষয়ে বলে দিয়েছেন মাননীয় আদালত। ছয়টি অভিযোগের মধ্যে তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য তিনটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

রায়ের পর্যবেক্ষণে গণহত্যা নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন আদালত। সে প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, ‘মামলার গণহত্যার আগের গণহত্যার বিষয়ে আগের সংজ্ঞাকে বিস্তৃত করেছেন আদালত। একই সঙ্গে গণহত্যা মানব সভ্যতায় যেন আর সংঘটিত না হয়, আমাদের দেশে তো নয়ই। বিশ্ব সম্প্রদায়কেও যেন গণহত্যার দায় এবং ক্ষত বহন করতে না হয় সেই বিষয়েও রায়ে মন্তব্য দিয়েছেন আদালত। আগের গণহত্যার মামলায় রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে যে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে এটি যুক্ত করেছেন আদালত। আমাদের আইসিটি অ্যাক্টে গণহত্যার সংজ্ঞাটি নতুন করে নির্ধারিত হওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, গণহত্যা কখনো ক্ষমার যোগ্য নয়। এটি পুনর্বার যেন সংঘটিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তিন রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা। যাচাই-বাছাইয়ের পর ২৮ নভেম্বর তা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন।

এ মামলায় তিন আসামি ছিলেন। বিচার চলাকালীন এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০) মারা গেলে তিনি অব্যাহতি পান।

রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা ও দেশত্যাগে বাধ্যকরণের মতো অপরাধের ৬ টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

যে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল তাদের সবার বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে। তবে, বর্তমানে আঞ্জু থাকতেন রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার হেতেম খাঁ মেথর পাড়ায়। অন্যদিকে, ছোরাপ একই জেলার মদন থানার জাহাঙ্গীরপুরে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/এসএমএন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন