বিজ্ঞাপন

বিদায় নিতে হচ্ছে ইফতেখারকে, চবি’র দায়িত্বে শিরিণ

June 13, 2019 | 9:02 pm

স্পেশাল ও চবি করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সমালোচনার জন্ম দেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিনকে অবশেষে বিদায় নিতে হচ্ছে। কয়েকমাস ধরে নতুন উপাচার্য নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চললেও এই পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতারকে চলতি দায়িত্ব হিসেবে উপাচার্যের কাজ চালিয়ে যেতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

আগামী শনিবার (১৫ জুন) বর্তমান উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হাবিবুর রহমানের সই করা এক বার্তায় শিরীণ আখতারকে নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করে যেতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই আদেশ ফ্যাক্সযোগে পেয়েছেন বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমেদ।

২০১৫ সালের ১৫ জুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পাবার পর আগে ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী উপউপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দেন। এর মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে গত ডিসেম্বরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে ১৪২ জনকে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ ওঠে, এসব নিয়োগের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত ছাত্র এবং মামলার আসামিও রয়েছেন। গত মার্চ ও এপ্রিলেও অস্থায়ী (অ্যাডহক) ও দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া অন্তত ২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন।

বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে চলতি বছরের মার্চে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ারের’ দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে। সিন্ডিকেটের জোর আপত্তি আর নীতিমালার তোয়াক্কা না করে বঙ্গবন্ধু চেয়ারের দায়িত্ব নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের তোপের মুখে পড়েছিলেন উপাচার্য।

এছাড়া ২০১৬ সালের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।

২০১৬ সাল থেকে ইফতেখারের সঙ্গে শিরীণ আখতার উপউপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্ব নিয়ে তিনি কোণঠাসা অবস্থায় ছিলেন বলে আলোচনা আছে।

বিজ্ঞাপন

সমালোচনার মুখে থাকা ইফতেখারের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না বলে গত কয়েকমাস ধরেই গণমাধ্যমে আলোচনা চলছিল। নতুন উপাচার্য হিসেবে যাদের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে, তারা হলেন— উপউপাচার্য শিরীণ আখতার, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. সেকান্দর চৌধুরী, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সুলতান আহমেদ ও মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী।

এদের মধ্যে বিএনপিপন্থী দুই শিক্ষকের সুপারিশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ আছে সেকান্দরের বিরুদ্ধে। শিরীণ আখতারকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সুপারিশ করেছেন বলে আলোচনা এসেছে।

হেলাল উদ্দিন নিজামী বর্তমানে প্রেষণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নব্বইয়ের দশকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্বের কাতারে ছিলেন হেলাল নিজামী।

সারাবাংলা/সিসি/আরডি/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন