বিজ্ঞাপন

পুলিশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১০ জন

June 27, 2019 | 7:50 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দেশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ১০ পুলিশ সদস্য। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীতে নারীর সংখ্যা আরো বাড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছেন। এতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ বাহিনীতে নারী ও পুরুষ সদস্য সংখ্যায় ‘গ্যাপ’ থাকার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পুলিশ বাহিনীতে ১০ শতাংশ নারী সদস্যের কথা বলছি। সেটা কিন্তু এখনও হয়নি। পুলিশে এখন নারীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। আর মোট পুলিশ সদস্য আছেন দুই লাখের মতো। এ জায়গায় নারীরা পিছিয়ে আছে।’

পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নারী পুলিশের দক্ষতা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সংশয় নেই। টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই শান্তি দরকার। টেকসই শান্তির জন্য টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা দরকার। নারী পুলিশ, পুরুষ পুলিশ একসঙ্গে কাজ করলে আমরা টেকসই নিরাপত্তা পাব।’

বিজ্ঞাপন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নারী পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় দক্ষতার সঙ্গে নারীরা কাজ করছেন। কয়েকটি জেলায় নারী এসপি আছেন, তারাও অনেক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। নারী সার্জেন্টরা রোদ-বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নারীরা পিছিয়ে নেই।’

মাদক প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটি অবশ্যই আমরা করব। আমাদের যুব সমাজ, যারা ভবিষ্যতে এই দেশের নেতৃত্ব দেবে, তাদের বাঁচাতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের ফেল করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা অবশ্যই দেশকে মাদকমুক্ত করব।’

একই অনুষ্ঠানে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘উন্নয়ন টেকসই হবে না যদি নারীরা এগিয়ে না যায়। উন্নয়নের সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা আমাদের বড়ো চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারীদের এগিয়ে নিতে হবে। বিপুল সংখ্যক নারী জনবল নিয়োগ করে পুলিশের তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীতে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নারী সদস্য থাকা এখন জাতীয় প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।’

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো.মাহাবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটওয়ারি, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, পুলিশ নারী কল্যাণ কেন্দ্রের (পুনাক) সভাপতি হাবিবা জাবেদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নিজামী এবং বাংলাদেশ পুলিশ উইম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি ও সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম।

যারা পুরস্কার পেলেন

অতিরিক্ত ডিআইজি ও র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক আতিকা ইসলাম, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শম্পা রাণী সাহা, পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন) তাপতুন নাসরীন, পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মাফুজা বেগম, পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহফুজা লিজা, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহমিদা হক শেলী, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এবং বরগুনা জেলার নারী সহায়তা কেন্দ্র জাগরণীতে দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) জান্নাতুল ফেরদৌস এবং পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কর্মরত কনস্টেবল নুসরাত জাহান।

সারাবাংলা/আরডি/একে

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন