বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপের পথ কতটা কঠিন বাংলাদেশের?

July 18, 2019 | 9:05 pm

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: প্রাক-বাছাইপর্বের পথ মাড়িয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বকাপ ফুটলের মূল বাছাইপর্বে। পথের কাঁটা নির্ধারণ হয়ে গেলো কাল। কাতার বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ, ভারত, ওমান ও আফগানিস্তান। এই চারটি দলের সঙ্গে যুদ্ধ করে হাসিল করতে হবে স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের পথটা কতটা কাঁটাযুক্ত?

বিজ্ঞাপন

ই গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে কাতার, ওমান, ভারত ও আফগানিস্তান।

র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে সবচেয়ে এগিয়ে কাতার (৫৫)। তার পরেই একশ’র ঘরে ওমান (৮৬)। ভারত আছে ঠিক তার পরেই (১০১)। আফগানিস্তান হাতের নাগালে (১৪৯)। দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিচের দল বাংলাদেশই। ১৮৩ অবস্থানে আছে লাল-সবুজরা। তবে, আশার বিষয় হলো সবগুলো দলই পরিচিত। অর্থাৎ এদের সবার সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে সবার সাথেই দুটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে বেঙ্গল টাইগার্সদের।

এশিয়া থেকে চার দল খেলবে বিশ্বকাপে
আট গ্রুপের ৪০ দল লড়াই করবে শেষ চারে পা রাখার জন্য। আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন ও সেরা চার রানার্স আপ মিলে ১২ দল পৌঁছাবে বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে। কাতার সরাসরি বিশ্বকাপ খেলায় তারা থাকবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের হিসাবের বাইরে। অর্থাৎ কাতার যদি নিজেদের গ্রুপ থেকে শীর্ষ স্থান অর্জনও করে এই গ্রুপ, এরপরও ‘ই’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হওয়া দল সরাসরি উঠে যাবে পরের রাউন্ডে। রানার্স আপ হয়ে খেলার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের।

বিজ্ঞাপন

১২ দলের ২০২৩ চীন এশিয়ান কাপেও খেলা নিশ্চিত করবে। আর তৃতীয় পর্বের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শীর্ষ ৬ দলকে ভাগ করা হবে দুটি গ্রুপে। দুটি গ্রুপের শীর্ষ চার দল খেলবে বিশ্বকাপে।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তৃতীয় রাউন্ডে না গেলে কি হবে বাংলাদেশের?
দ্বিতীয় পর্ব পেরুতে না পারলে বাংলাদেশ অংশ নেবে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের অন্যান্য ধাপে। আট গ্রুপের চতুর্থ হওয়া সেরা চার দল অংশ নেবে তৃতীয় রাউন্ডের এশিয়া কাপ বাছাই পর্বে। আর বাকি চার চতুর্থ হওয়া দল ও পঞ্চম হওয়া দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে খেলবে এশিয়া কাপের বাছাই পর্বের প্লে-অফে।

এদিকে কাতার ও ভারতকে পেয়ে রোমাঞ্চিত কোচ জানান, ‘দারুণ ব্যাপার যে আমাদের গ্রুপে কাতার ও ভারতের মতো দলকে পেয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি আছে বলেই হয়তো তিনি এমনটা বলেছেন হয়তো। ইন্দোনেশিয়ায় গত এশিয়ান গেমসে কাতারকে হারিয়েই বাংলাদেশ ইতিহাসের প্রথমবার জায়গা করে নিয়েছিলো নক আউট পর্বে। সেই আত্মবিশ্বাসটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন কোচ।

তবে, ড্রয়ে ই গ্রুপটাকে সহজ হিসেবে দেখতে চান না জেমি, ‘সবসময় গ্রুপগুলো কঠিন হয়। যেহেতু র‌্যাঙ্কিংয়ে আমরা পিছিয়ে। তবে আমি চ্যালেঞ্জটা নেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’

১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে জামাল-মতিনদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মিশন। ম্যাচটি অ্যাওয়ে খেলবে বাংলাদেশ। তার এক মাস পর ১০ অক্টোবর কাতারকে আতিথ্য দিবে লাল-সবুজরা। চারদিন পর ১৫ অক্টোবর ভারতের মাটিতে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে বেঙ্গল টাইগাররা। পরের ম্যাচটাও অ্যাওয়ে খেলবে ওমানের মাটিতে। ম্যাচটা হবে ১৪ নভেম্বর। এ বছর আর কোনও ম্যাচ নেই। ২০২০ সালের ২৬ শে মার্চ আফগানদের আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ। ৩১ শে মার্চ কাতারের মাটিতে অ্যাওয়ে ম্যাচ। ৪ এপ্রিল ভারতকে আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ। সবশেষ ম্যাচটি ৯ জুন ওমানকে আতিথ্য দেবে লাল-সবুজরা। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা সমাপ্ত হবে।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন