বিজ্ঞাপন

জিনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ ও বলাৎকার, ইমাম রিমাণ্ডে

July 23, 2019 | 7:25 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখানের এলাকায় একটি মসজিদের ইমাম ও মাদরাসার শিক্ষক ইদ্রিস আহম্মেদ (৪২) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক নারীকে ধর্ষণ ও পুরুষকে বলাৎকার করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় একদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মাসুদ-উর- রহমান এ রিমাণ্ডের আদেশ দেন।

এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার এসআই প্রদীপ কুমার তরফদার আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আল আমিন রিমাণ্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে রিমাণ্ডের এ আদেশ দেন।

গত ২১ জুলাই রাতে একাধিক ধর্ষণ ও বলাৎকারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি মামলায় এ মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। সোমবার (২২ জুলাই) দুপুরে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে ইমাম ইদ্রিস আলীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘এই ইমাম এলাকায় এতটাই প্রভাবশালী যে, তাকে গ্রেফতার করে আনার সময় স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু যখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে তার কুর্কমের প্রমাণসহ তুলে ধরা হয় তখন তারাই অবাক হয়েছে। এমনকি কেউ কেউ চিৎকার করে কেঁদে বলেছে যে, কার পিছনে এতদিন নামাজ পড়েছিলাম আমরা!’

বিজ্ঞাপন

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, ‘মসজিদে নামাজ পড়ানোর পাশাপাশি একটি মাদ্রাসাতেও শিক্ষকতা করত ইমাম ইদ্রিস আহম্মেদ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি এলাকায় প্রচার করতে থাকেন যে, তার কাছে জিন বন্দি আছে। জিন দিয়ে রোগ সারানো হয়। এমন তথ্য প্রচার হওয়ার পর এলাকার মহিলারা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য তার কাছে যেতে শুরু করে। আর এ সুযোগে চিকিৎসার জন্য আসা মহিলাদেরকে জিনের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করত এ ইমাম। আর সে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করাতো অন্য সহযোগীদের দিয়ে। পরে সেই সহযোগীকে দিয়েও ধর্ষণ করাতো ইদ্রিস আহম্মেদ। এতে করে যে ভিডিও করছে সে আর বাহিরে কারও কাছে অভিযোগ করার সাহস পেত না। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষক ইদ্রিস দক্ষিণখানের স্থানীয় একটি মসজিদের পাশাপাশি ওই মসজিদের মাদরাসায়ও শিক্ষকতা করতেন। মাদ্রাসায় পড়তে আসা ১০/১২ বছরের কমপক্ষে ১২ জন শিশুকে সে বারংবার বলাৎকার করেছে। শুধু তাই নয়, ভিডিও ধারণ করে মাদরাসা ও মসজিদে থাকা তার খাদেমদেরকেও সে একাধিকবার বলাৎকার করেছে জিম্মি করে। ’

তার সম্পর্কে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ‘অভিযুক্ত ইদ্রিস আহম্মেদের বাড়ি সিলেটে। সেখানকার একটি মাদরাসা থেকে সে ১৯৯৮ সালে টাইটেল পাস করে। এরপর সে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের একটি মসজিদে ইমামতি এবং পাশাপাশি একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর ২০০২ সালে ঢাকায় এসে দক্ষিণখানে একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হয়। সে প্রায় ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে ওই মসজিদে ইমামতি করে আসছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন