বিজ্ঞাপন

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা খোকন

May 8, 2024 | 4:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দীর্ঘ ছয় মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (০৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন। এ সময় কারাফটকে খোকনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরে এলাহী, সদস্য রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেলসহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী।

গত বছর ২৬ জানুয়ারি নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী মাইন উদ্দিন ভূঁইয়াকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হয়। এতে তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেন এবং পরে ভাঙচুর করেন। এরপর কমিটি বাতিলের দাবিতে বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন পদবঞ্চিতরা।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ মে বিকেলে ছাত্রদলের বহিষ্কৃত নেতারা ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জেলা বিএনপির চিনিশপুরের অস্থায়ী কার্যালয়ের সড়কে ঢোকার পর গুলিবিদ্ধ হন জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বহিষ্কৃত নেতা ছাদিকুর রহমান ও তার অনুসারী আশরাফুল হক।

বিজ্ঞাপন

পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। পরে ওই ঘটনায় নিহত ছাদিকুরের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাসহ জেলা বিএনপির ৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৩৫ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় খোকন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন।

গত বছরের ২৭ শে জুলাই তার জামিনের মেয়াদ শেষে হয়ে যায়। এরপর ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩টার দিকে খায়রুল কবির খোকনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে কারাগারেই ছিলেন খায়রুল কবির খোকন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন