বিজ্ঞাপন

‘রোহিঙ্গাদের জোর করে ভাসান চরে পাঠাবে না সরকার’

July 29, 2019 | 7:46 pm

এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেপন্ডেন্ট

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জোর করে নোয়াখালীর ভাসান চরে পাঠাবে না সরকার।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৯ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কক্সবাজারের একাধিক শিবিরের মাত্র ৬ হাজার ৮০০ একর জমিতে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। এবার বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল। ভয় ছিল যে, অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসান চরের জমি উন্নয়ন করেন। সেখানে ২৩ হাজার পরিবারের মোট ১ লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানাস্তরের পরিকল্পনা ছিল।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভাসান চরে বসবাসের জন্য সুন্দর বাড়িঘড় নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তারা মাছধরা, কৃষিকাজ, গরু-ছাগল পালন ইত্যাদি কাজ করতে পারবে। এ জন্য ভাসান চরের জমি উন্নয়ন করে অনেক উঁচু করা হয়েছে। পাশাপাশি অনেকগুলো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রও নির্মাণ করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে এত সুন্দরভাবে ভাসান চর উন্নয়ন করলাম, অথচ রোহিঙ্গারা সেখানে যেতে চায় না। আমরাও জোর করে পাঠাতে চাই না। তাদেরকে এনজিও বা কেউ বুদ্ধি দিয়েছে ওখানে না যাওয়ার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে বিশ্ব খাদ্য সংস্থাসহ অনেকেই প্রথমে সম্মতি দেয়। কিন্তু পরে দেখা গেল যে, রোহিঙ্গারা ভাসান চরে গেলে এনজিও কর্মকর্তারা সেখানে পাঁচ তারকা বা চার তারকা হোটেলের আরামে থাকতে পারবে না; কক্সবাজারে যেটা সম্ভব।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন