বিজ্ঞাপন

‘জার্সি দিয়ে মুখ ঢাকলে হলুদ কার্ড’ নিয়মটা জানতেন না ইয়াসিন

October 1, 2019 | 11:12 pm

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ক’দিন আগে যুব সাফ ফুটবলের ফাইনালে শেষ মুহূর্তের গোলে ভারতের কাছে হারের বেদনা নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে ৪০ মিনিটের মাথায় প্রত্যাবর্তন করে উদযাপন করতে গিয়ে লাল কার্ড, পরে দ্বিতীয়ার্ধের নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত সময়ে গোল খেয়ে রানার্স আপ হয়েছে ইয়াসিন আরাফাতরা।

বিজ্ঞাপন

এর মাঝে আরও দুটি লাল কার্ড দেখেছে ম্যাচ। সবমিলে তিনটি। তার দুটিই লাল-সবুজদের ঝুলিতে। ‘অনিচ্ছাকৃত হলেও’ একটি শিশুসুলভ গোল উদযাপনে হলুদ কার্ডে সর্বনাশ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন।

ফাইনাল ম্যাচে ভারতের সঙ্গে এক গোলে পিছিয়ে থেকে ১৭ মিনিটের মাথায় একটা হলুদ কার্ড পেয়েছেন অধিনায়ক ইয়াসিন আরাফাত। ঠিক ৪০ মিনিটে দারুণ একটা গোল করে বাংলাদেশকে আনন্দের মুহূর্ত উপহার দিয়ে আবার সঙ্গে সঙ্গে বিষাদের অনলে পুড়িয়েছেন অধিনায়ক ইয়াসিন নিজেই। যার মাশুল দিতে হয়েছে মাঠ ছেড়ে। বাংলাদেশ তখন পরিণত হয় ৯ জনে। ভারতের ১০ জনের সঙ্গে পেরেই উঠেনি ফাহিমরা। অতিরিক্ত মিনিটে গোল খেয়ে আরেকবার শিরোপার কাছ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে দুঃস্বপ্ন মাথায় নিয়ে।

বিজ্ঞাপন

গোল উদযাপনের সময় জার্সি দিয়ে মাথা বা নাকের উপর ঢাকলেই যে হলুদ কার্ড হয় এই নিয়মটাই জানতেন না দলের অধিনায়ক ইয়াসিন আরাফাত, ‘কার্ড দেখতে হবে, আমি ঘুণাক্ষরে বুঝতে পারিনি। গোলের পর স্বাভাবিকভাবে জার্সি দিয়ে মুখ ঢাকি। কিন্তু এর জন্য দ্বিতীয় হলুড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। আমি এই নিয়মটা জানতাম না, জানলে জার্সি দিয়ে মুখ ঢাকতাম না।’

অবশ্য এমন ভুলটা বুঝতে পেরে পরে ড্রেসিং রুমে এসে কেঁদেছেন তিনি। তার কণ্ঠে ঝড়লো সেই কান্নার সুর, ‘তখন ওভাবে গোল উদযাপনটা না করলে হয়তো ফল অন্যরকম হতে পারতো। আমি ড্রেসিংরুমে এসে কেঁদেছি।’

তবে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কাজে লাগানোর আশ্বাস দিয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত, ‘কোচও বলেছেন, আমার কাজটা করা ঠিক হয়নি। আমি ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি। ভবিষ্যতে আর এটা হবে না। আশা করি আমাকে দেখে অন্যরা শিখবে, যেটা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’

বিজ্ঞাপন

ভারতের বিপক্ষে ৯ জন নিয়েও বাংলাদেশ দারুণ লড়াই করে গেছে পুরো ম্যাচে। অধিনায়ককে ছাড়াই নির্ধারিত ম্যাচের পুরো সময় আগলে রেখেছে বার। অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি যার প্রতিদান দিতে হয়েছে শিরোপা হাতছাড়া করে, ‘আমরা শেষ সময় পর্যন্ত লড়াই করেছি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ইনজুরি সময়ে গোল হজম করে আমাদের রানার্স-আপ হতে হয়েছে।’

সারাবাংলা/জেএইচ

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন