বিজ্ঞাপন

ওষুধ প্রশাসনের ২ কর্মকর্তার চাকরিতে নিষেধাজ্ঞা আপিলে বহাল

October 13, 2019 | 12:32 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রিড ফার্মার প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত তৎকালীন ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেনের ঔষুধ প্রশাসনে চাকরির ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৩ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতির সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৮ জুলাই এই দুই কর্মকর্তার অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারণে চাকুরিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। ওই দিন আদেশে আদালত বলেছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক যদি মনে করেন তাদের অন্য কোথাও পদায়ন করবেন, করতে পারেন। কিন্তু ওষধ প্রশাসনের চাকুরিতে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

হাইকোর্টের ওই আদেশটি স্থগিত চেয়ে ওই দুই কর্মকর্তা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন। গত ২৩ জুলাই চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন।

বিজ্ঞাপন

পরে রিটকারী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত ৮ আগস্ট চেম্বার আদালতের সে আদেশটি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে। রোববার প্রত্যাহারের সে আবেদনটির গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।ফলে হাইকোর্টের আদেশটিই বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর রিড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় দেন ঢাকার ঔষধ আদালতের বিচারক আতোয়ার রহমান।

ওই রায়ে বিচারক বলেছিলেন, মামলার বাদি ও তদন্ত কর্মকর্তা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তখনকার সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেনের ‘অযোগ‌্যতা ও অদক্ষতার কারণে’ রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব‌্যর্থ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পরে ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এ দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের পর চলতি বছরের ৩১ মার্চ ‘তিরস্কার’ করে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ঔষধ প্রশাসন। এরপর এ দুই কর্মকর্তা তাদের চাকরি শুরু করেন।

৩১ মার্চের ওই প্রত্যাহার আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ -এইচআরপিবি’ হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। ৩১ মার্চের মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশ কেন অবৈধ এবং আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। দুই কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ এজেডকে/জেডএফ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন