বিজ্ঞাপন

আমাদের টার্গেট মাদককে দুষ্প্রাপ্য করা: র‌্যাব ডিজি

December 24, 2019 | 3:48 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

কুয়াকাটা থেকে: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান শুরুর পর থেকেই আমাদের টার্গেট ছিল মাদককে দুষ্প্রাপ্র্য করা। এখনও সেই টার্গেটকে সামনে রেখেই কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। দৌড়াও বাংলাদেশ শিরোনামে কুয়াকাটা সী বিচে মাদকবিরোধী এক ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করে র‌্যাব। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

র‌্যাব ডিজি বলেন, ‘আপাতত আমাদের টার্গেট মাদককে দুষ্প্রাপ্য করে দেওয়া। আগে এক পিস ইয়াবা কিনতে লাগত ৫০ টাকা। আর এখন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। এতে করে ধীরে ধীরে এমনিতেই ডিমান্ড কমে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি নজরদারি করা হচ্ছে। কারণ তারা যদি মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। সেক্ষেত্রে মাদক নির্মুল করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।’

বিজ্ঞাপন

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলব, মাদকের সঙ্গে যেন কারও কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা না থাকে। কারণ নিজেদের মধ্যে যদি সমস্যা থাকে, তখন মাদকের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘কোনো বাহিনীর মধ্যে যেন কেউ মাদক সেবন বা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না হয়। থাকলে আমাদের অবশ্যই সচেতনভাবে এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরাসহ অন্য সংস্থাগুলো নিয়মিত অভিযান চালিয়ে এখন মাদক অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবে এখনও আমাদের আত্মতুষ্টির সময় আসেনি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাব। অপারেশনের পাশাপাশি এখন আমরা সামাজিক সচেতনতার প্রতি বেশি জোর দিচ্ছি। এভাবে সচেতন করে যদি ডিমান্ড কমানো যায়। তাহলে এমনিতেই সাপ্লাই কমে আসবে।’

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘সমুদ্র পথে টহল বাড়ানো হয়েছে। র‌্যাব ছাড়াও কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিজিবি কাজ করছে।’

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘কোনো একক বাহিনীর পক্ষে একা মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। এ জন্য দরকার সবাইকে একত্রিত করা। বাংলাদেশিরা আজ পর্যন্ত যেসব ঘটনায় একত্রিত হয়েছেন সেটা সম্ভব হয়েছে। এই মাদক বেশিদিন চলবে না। আমরা এটা যৌথভাবে নির্মূল করব।’

বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে যখন পশ্চিমা বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদ বলতেন, আমাদের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আজ তাদের মুখে চুনকালি মেখে দেশ এখন উন্নয়নের সড়কে। এখন যারা বলছেন, আমরা মাদক নির্মূল করতে পারব না, তাদেরকে দেখিয়ে দেব আমরা মাদককে নির্মূল করেছি।

র‍্যাবের ডিজি বলেন, ‘আমরা আর কোনো তরুণকে মাদকের ছোবলে পড়তে দেব না। তরুণদের সুস্থ সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ মে থেকে র‌্যাব ‘চল যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগানে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করে। অভিযানে সারাদেশে বন্দুকযুদ্ধে ১৩০ জন মাদক ব্যবসায়ী মারা যায়। এছাড়া গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন ৩২ হাজার ৭৪৬ জন মাদক ব্যবসায়ী। উদ্ধার হয়েছে হেরোইন ৬৫ কেজি, ইয়াবা ১ কোটি ৪০ লাখ ৯৪ হাজার পিস, ফেনসিডিল ২ লাখ ৪১ হাজারের বেশি, বিদেশি মদ ১৫ হাজার ৫১০ বোতল, দেশি মদ ২ কোটি ২৩ লাখ ৬৫ হাজার লিটার।

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন