বিজ্ঞাপন

সোলাইমানির কফিন নিয়ে মিছিল, মার্কিন দূতাবাসের কাছে রকেট হামলা

January 5, 2020 | 2:03 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস্ ফোর্স কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃতদেহ নিয়ে শোক মিছিল করেছেন ইরাকের মানুষ। সোলাইমানি ও তার সঙ্গে হামলায় নিহত ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহাদি আল-মুহান্দিসের মৃতদেহবাহী কফিন নিয়ে কারবালার প্রান্তরে যায় লাখো মানুষের মিছিল।

বিজ্ঞাপন

এদিকে মিছিলের পরপরই ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, করা হয়েছে রকেট হামলাও।

যে এলাকায় এসব বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটি বাগদাদে গ্রিন জোন হিসেবে পরিচিত। মূলত বালাদ বিমান ঘাঁটির কাছের এই এলাকায় মার্কিন দূতাবাসসহ বিভিন্ন দূতাবাসের অবস্থান। এছাড়া মার্কিন সেনাদের বসবাসও এই এলাকায়।

রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে গ্রিন জোনের মার্কিন দূতাবাসের পাশেই একটি রকেট আছড়ে পড়ে। আরেকটি পড়ে পাশের জাদরিয়া এলাকায়। এছাড়া বালাদ বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করেও চালানো হয়েছে হামলা।

বিজ্ঞাপন

তবে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এসব বিস্ফোরণে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাগদাদের এয়ারপোর্ট এলাকায় ড্রোন থেকে গাড়িতে মিসাইল হামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানি, ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহাদি আল-মুহান্দিসসহ অন্তত ৮ জনকে হত্যা করা হয়। মার্কিন সামরিক সদর দফতর পেন্টাগন জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে এই মিশন পরিচালিত হয়েছে।

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস্ ফোর্স কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে ইরানের রাজপথ। ইরানের জনগণ কাসেম সোলাইমানিকে শহিদ আখ্যা দিয়েছেন। তারা হত্যার প্রতিশোধ দাবি করছেন। একইসঙ্গে সোলাইমানির মৃত্যুতে রাস্তায় নেমেছেন হাজারও ইরাকি। শনিবার বিকেলে তারা যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ইরাকে বসবাসরত মার্কিনিদের দেশটি ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। শুক্রবার থেকেই ইরাকের বিভিন্ন শহরে কর্মরত মার্কিনিরা দেশ ত্যাগ করতে শুরু করেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র যুক্তরাজ্যও ইরাক সফরের বিষয়ে তার দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে।

সারাবাংলা/এসএমএন

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন