January 23, 2020 | 12:14 pm
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: পদ্মাসেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ৪১ টি স্প্যান দিয়ে তৈরি হবে এই সেতু। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালের ভালো খবর হলো, এই ৪১টির মধ্যে ২২টি স্প্যানই বসে গেছে। আর এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর প্রায় অর্ধেক।
সকাল পৌনে ৯টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি নিয়ে যাওয়া হয় পিলারের কাছে। এরপর শুরু হয় ৪ ও ৫ নম্বর পিলারে স্প্যানটি বসানের প্রক্রিয়া। প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টা শেষে এটি বসিয়ে জোড়া লাগানোর কাজ শুরু হয়। এর আগে পিলারের উপর বিয়ারিং বসানো হয়। এই বিয়ারিং সেতুর স্প্যান ধরে রাখবে।
চলতি মাসের শেষ দিকে আরও একটি স্প্যান পিলার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সেতু বিভাগের।
পদ্মাসেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে মাওয়া কনস্ট্রাকশন গ্রাউন্ডে এসেছে ৩৫টি স্প্যান। চারটি স্প্যান তৈরির কাজ এখনো চলছে চীনে। বাকি দু’টি স্প্যান সুমদ্রপথে বাংলাদেশে আসার পথে রয়েছে। দেশে পৌঁছানো ২২টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৩ হাজার ৩০০ মিটার।
পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, সবগুলো স্প্যান আগামী মার্চের মধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে। জুলাই মাসের মধ্যেই এগুলো পিলারের ওপর বসানো হবে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নির্মাণ প্রকল্প পদ্মাসেতু। গত ১৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফাস্ট ট্র্যাক মনিটরিং কমিটির পঞ্চম সভায় জানানো হয়, প্রকল্পের মূল আর আর্থিক অগ্রগতি ৮০ দশমিক ৩৭ ভাগ। পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের পুরো কাজের ৭৬ দশমিক ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ ৯১ ভাগ, মাওয়া প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ শতভাগ, সার্ভিস এরিয়া-২-এর কাজ শতভাগ ও নদীশাসনের কাজ ৬৬ ভাগ শেষ হয়েছে।
এর আগে, গত ১৪ জানুয়ারি পদ্মাসেতুর ২১ নম্বর স্প্যান বসানো হয়। পদ্মার তলদেশে কৃত্রিমভাবে মাটিকে প্রক্রিয়াজাত করে গড়ে তোলা পিলারের ওপর বসানো হয় স্প্যানটি।
সারাবাংলা/এসএ/এসএমএন