বিজ্ঞাপন

স্ক্রিনিং ছাড়াই চীন থেকে যাত্রী প্রবেশের খবরে সংসদে উদ্বেগ

February 6, 2020 | 10:52 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: চীন থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর স্ক্রিনিং ছাড়াই দেড়শ যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন— এমন খবরে জাতীয় সংসদে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, গত পহেলা ফেব্রুয়ারি চীনের সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের দেড়শ যাত্রী হজরত শহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে খবর এসেছে। এ বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে তদন্তের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একটি বিবৃতিও প্রত্যাশা করছি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

অধিবেশনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আপনি দেশবাসীকে বলুন, যারা বিনা পরীক্ষায় প্রবেশ করেছে, তাদের শরীরে যে করোনাভাইরাস নেই, তা কে নিশ্চিত করবে?

বিজ্ঞাপন

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে চীন সরকার প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে যেন এই ভাইরাসটা তাদের দেশের বাইরে না যেতে পারে। এটি এমন একটি ভাইরাস যার কারণে সারাবিশ্বের মানুষ আতঙ্কিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাস নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং সদস্য দেশগুলোকে এ বিষয়ে সর্তক থাকতে বলেছে। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে সাবধান থাকতে বলেছেন। তারপরও কী করে বিনা পরীক্ষায় যাত্রী দেশে প্রবেশ করল?

এসময় চুন্নু কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদন ও এক যাত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরে বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস শনাক্তে গাফিলতি। প্রয়োজনীয় ডাক্তার না থাকায় রাতে বেশকিছু যাত্রী পরীক্ষা ছাড়াই দেশে প্রবেশ করেছে।

তিনি বলেন, চীন থেকে ইউএস বাংলা, চায়না স্টার ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স প্রতিদিন প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে। চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সে আসা এক যাত্রী মুশফিকা সারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন গত পহেলা ফেব্রুয়ারি। তিনি বলেছেন, প্রায় ১৫০ যাত্রী কোনো পরীক্ষা ছাড়াই দেশ প্রবেশ করেছে। ওই যাত্রী অভিযোগ করেছেন, বিমানবন্দরে পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও তাকে ও বাকি ১৫০ জনকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। এমনকি যে ফরম দেওয়া হয়েছে, ওই ফরমে আগে থেকেই ‘ওকে’ লেখা ছিল। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, আমাদের শরীরে যে করোনাভাইরাস নেই, তা কে দেখবে?

বিজ্ঞাপন

মুজিবুল হক বলেন, বিমানবন্দরের এই গাফিলতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরও অমান্য করে বিমানবন্দরে ডাক্তারে অভাবে চেক করল না। তাদের কারো শরীরে করোনাভাইরাস থাকলে সারাদেশে মহামারি হয়ে যাবে। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীকে বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে তদন্ত করার দাবি জানান।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন