বিজ্ঞাপন

‘অবকাঠামো নির্মাণ কাজে ঢাকার বায়ুমান বেশি খারাপ হয়েছে’

February 16, 2020 | 7:57 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: শুষ্ক মৌসুমে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত বাষুদূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যায়। এই সময় রাজধানী ঢাকায় শুধুমাত্র সুক্ষ্ম বস্তুক্ষণার পরিমাণ নির্ধারিত মাত্রার বাইরে থাকে। ২০০২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বায়ুমানের ডাটা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৬ থেকে ২০১৯ এই তিন বছর বায়ুমান বেশি খারাপ হয়েছে। এ সময় বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ বেড়ে যাওয়ায় এমনটি ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মনজুর হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী জানান, পরিবেশ অধিদফতর ঢাকাসহ সারাদেশে সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বায়ুর গুণগত মান পরিমাপ করছে। অন্যান্য দুষক যেমন- সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন-মনোস্কাইড ইত্যাদি সারাবছর মানমাত্রার মধ্যে থাকে। বায়ু দূষণের উৎস হিসেবে ইটভাটা, যানবাহন, রাস্তা খোড়াখুড়িসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম, পৌরবর্জ্য ও বায়োমাস পোড়ানো এবং ট্রান্সবাউন্ডারি প্রভাবকে দায়ী করা হয়।

মন্ত্রী জানান, আইনের আওতায় পরিবেশ অধিদফতর দেশে বিদ্যমান ইটভাটাগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অবৈধ পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে অভিযান পরিচালনা করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এরই মধ্যে সারাদেশে প্রায় ছয়শ’ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

মো. শাহাব উদ্দিন জানান, মাটি ব্যবহার করে পোড়ানো ইট উৎপাদন ও ব্যবহার শূন্য নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের মধ্যে শতভাগ ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পরবর্তী সময়ে সব বেসরকারি কাজে ইটের বিকল্প ব্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে মাটি ব্যবহার করে পোড়ানো ইট উৎপাদনও শূন্যে নেমে আসবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শাহে আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, পরিবেশের জন্য চরম ক্ষতিকর নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন বন্ধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে পলিথিন জব্দ, জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ঢাকা মহানগরের বাজার কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তারা পলিথিন ব্যবহারে মানুষ অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে মর্মে উল্লেখ করে পলিথিনের বিকল্প বাজারে সরবরাহের দাবি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ খান পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পলিথিন ’সোনালী ব্যাগ’ আবিস্কার করেছেন। প্রচলিত পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহৃত পলিথিন রিসাইক্লিং-য়ের মাধ্যমে পূর্ণ ব্যবহার করার উদ্যোগটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সংসদের জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন