বিজ্ঞাপন

‘বাংলাদেশে কারও মধ্যেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি’

February 19, 2020 | 5:06 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশে কারও মধ্যেই এখনো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি, তাই করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে নবনির্মিত নার্সিং ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে যারা প্রবেশ করছেন, আমরা তাদের সবাইকে স্ক্রিনিং করছি। যেখানে অসুস্থতা পাওয়া গেছে তাদের আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেছি, পরীক্ষা করিয়েছি। এখন পর্যন্ত তাদের সবার পরীক্ষা নেগেটিভ পাওয়া গেছে। আমি তাই গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে দেশবাসীকে বলতে চাই, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

এছাড়া বাংলাদেশে ইতোমধ্যে আকাশ, নৌ ও স্থলপথে প্রায় ২ লাখ মানুষকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক প্রায় ৭২ জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে একজনও করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়নি। আর কোনো কারণে সংক্রমিত রোগী চলে এলেও তার চিকিৎসার সব ধরনের জোরালো প্রস্তুতি দেশের স্বাস্থ্যখাতের রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ কিছু মিথ্যা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। মুরগির মাংস খাওয়া, মাস্ক ব্যবহার করা থেকে শুরু করে বিদেশ ফেরত কোনো সুস্থ্য মানুষকে নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রতিদিনই আপডেট দেওয়া হচ্ছে এবং করণীয় বিষয়গুলি বলা হচ্ছে। সুতরাং কোথাও কোনোরকম মিথ্যা গুজব ছড়ানো যাবে না এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনার বাইরে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো ধরনের কথায় কান দেওয়া যাবে না।’

এছাড়া নার্সিং পেশায় প্রতিবছর বহুসংখ্যক নার্স প্রবেশ করছে জানিয়ে ও নার্সিং অধিদফতরের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তামানে সরকারি-বেসরকারি সব মিলিয়ে ৩৭৬টি নার্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। এখান থেকে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ২০ হাজার নার্স বের হয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের নীতিমালার আওতায় আনতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারের নীতিমালা পুরোপুরি মেনে চলতে এবং নার্সিং পেশাকে আরও আধুনিকায়ন করতে নার্সিং অধিদফতরের গুরুত্ব অনেক। নতুন ভবনের অবকাঠামোগত সব কাজই প্রায় শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই ভবনটিতে কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।’

পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নবনির্মিত ভবনটি ঘুরে দেখেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, নার্সিং অধিদফতরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারাও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/জেআইএল/এমআই

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন