বিজ্ঞাপন

সমন্বিত নয়, স্নাতকে ভর্তিতে ৩৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পরীক্ষা

February 26, 2020 | 9:14 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সমন্বিত পরীক্ষা পদ্ধতির কথা বললেও সে প্রস্তাবনা থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এর পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধরন অনুযায়ী চারটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। চলতি বছর, অর্থাৎ স্নাতক পর্যায়ে আগামী ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি, প্রকৌশল এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়— এই চারটি গুচ্ছে ভাগ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। দেশের ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এই পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে সম্মত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসি অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ এসব তথ্য জানান। এসময় তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জাহঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এই গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় এ বছর অংশ নেবে না।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আলাদাভাবে চারটি ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তবে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে আলাদভাবে তিনটি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের বড় পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। তবে এ পদ্ধতিতে দেশের ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আমরা সবার কাছে আহ্বান জানিয়েছি, যারা আসবে তাদের সবাইকেই আমরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে যুক্ত করব।

অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ আরও বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা এ পদ্ধতিকে সাধুবাদ জানালেও তাদের নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতি বহাল রাখার কারণে যুক্ত হতে পারছে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে আমাদের চেষ্টা ও দরজা খোলা থাকবে। যারা এতে যুক্ত হতে আগ্রহ দেখাবে, তাদের নেওয়া হবে।

ইউজিসি’র সদস্য মো. আলমগীর বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে ফের বৈঠক করে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কমিটি গঠন করা হবে। তারা উপকমিটি তৈরি করে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন, প্রশ্ন পদ্ধতি প্রণয়ন, ফলাফল প্রকাশসহ সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিজ্ঞাপন

ইউজিসি’র এই সদস্য আরও বলেন, আগের মতো প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। আবেদন নেওয়া হবে অনলাইনে। আবেদনকারীদের রোল নম্বর অনুযায়ী গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা আয়োজন করে সেই অনুযায়ী প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সবকিছু কেন্দ্রীয় কমিটি ও উপকমিটির সদস্যাদের তত্ত্ববধানে পরিচালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আওতায় কলেজগুলোতেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

আর আগে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান। বৈঠকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান জানান, কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষাকে সবাই সমর্থন করেছেন। তবে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কাউন্সিল কমিটির সদস্যদের সম্মতি না থাকায় এতে যুক্ত হতে পারছে না বলে জানিয়েছেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রথমে সবাই সমন্বিত পদ্ধতিকে সমর্থন জানালেও এখন কেন কেউ কেউ পিছিয়ে যাচ্ছে? এটি একটি লজ্জার বিষয়, যা কাম্য নয়। যেসব সমস্যার কারণে অনেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন, তা চিহ্নিত করে সমাধানের মাধ্যমে সবাইকে যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, স্বয়ং রাষ্ট্রপতি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা প্রত্যাশা করেছেন। দেশের মানুষও তাই চায়। তারপরও এই প্রক্রিয়ায় কারও কারও পিছিয়ে থাকাটা দুঃখজনক।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিএস/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন