বিজ্ঞাপন

অবহেলা-অজ্ঞতার কারণে চরম অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা ফখরুল

April 13, 2020 | 8:27 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকারের অবহেলা-অজ্ঞতার কারণে করোনা সংকট মোকাবিলায় চরম অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে তেজগাঁওয়ে দিনকাল পত্রিকার কাছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাতধোঁয়ার বেসিন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্কাইপিতে যুক্ত হয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা নাই। যে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোতে আসলে কোনো চিকিৎসা নাই। কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে যারা নার্স আছেন, তাদের খাবারের ব্যবস্থা নাই।’

বিজ্ঞাপন

‘এই যে চরম একটা অব্যবস্থাপনা— এই অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে সরকারের চরম অবহেলা এবং অজ্ঞতার কারণে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। একটা ভয়াবহ অমানবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে বেরোনোর জন্য সকলকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা যে যেখানে আছি, যে যতটুকু পারি, যেভাবে পারি মানুষের এই চরম দুর্দিনে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।’

বিজ্ঞাপন

প্রান্তিক জনগোষ্ঠিসহ বিভিন্ন শ্রেণির জন্য ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্রস্তাবসমূহ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়াতে দিন আনে দিন খাওয়া মানুষ বিপদে আছে, অনেকে না খেয়ে আছে। সরকার এ বিষয়ে কোনো বাস্তব কার্য্করী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘সরকার একটা প্যাকেজ দিয়েছে। সে প্যাকেজে পুরোপুরিভাবে বিত্তশালীদের। যারা ব্যাংকের সঙ্গে জড়িত, বিভিন্ন গার্মেন্টসের সঙ্গে জড়িত তাদের জন্যে এই প্যাকেজগুলো করা হয়েছে। আমরা দেখেছি এই প্যাকেজটা একটা ব্যাংক ঋণের প্যাকেজ। সাধারণ মানুষের জন্য কোনো বরাদ্ধ আমরা দেখতে পারছি না। আমরা পত্রিকাগুলোতে দেখছি ১০ টাকা কেজি চাল দেওয়া হচ্ছিল গরীব লোকের জন্যে। তা চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাদের ঘরে। আমরা দেখছি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে পেটানো হচ্ছে। আজকে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক মো. মোর্শেদ হাসান খান, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, আসাদুজ্জামান চুন্নু, আশরাফ রেজা ফরিদী, উমাশা উমায়ুন মনি চৌধুরী, কামরুল হাসান সাইফুল, আতিকুর রহমান রুমন ও শায়রুল কবির খানসহ অনেকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন