বিজ্ঞাপন

কৃষির প্রতি সাকিবের বাড়তি টান

May 13, 2020 | 4:43 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে সাকিব আল হাসানের কয়েকটা ছবি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে বেশ চর্চা চলল। ছবিতে দেখা গেল, সবুজ মাঠে এক মনে দাঁড়িয়ে-বসে আছেন সাকিব, কখনো আবার সেচের পানিতে হাত ভিজিয়ে শৈশবকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন। ক্ষেতের মাঠে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকাটির এমন সাধারণ রুপ বাড়তি আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তবে অনেকে হয়তো জানেন না কৃষির সঙ্গে সাকিবের সখ্যতা অনেক পুরনো।

বিজ্ঞাপন

ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি বাড়তি আগ্রহ তার। নানা বাড়িতে বেড়াতে গেলে মরিচ কুড়ানো, ধান কাটার কাজ করতেন আগ্রহ নিয়ে। মাঠে ছুটে যেতেন ভোরে। ধান কাটতে গিয়ে হাতের রক্তও ঝঁরিয়েছেন সাকিব। জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে কৃষি নিয়ে বাড়তি আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সাকিব।

জার্মানির গণমাধ্যমটির সঙ্গে সাকিবের আলাপের সময় দর্শকদের প্রশ্ন করার সুযোগও ছিল। এই প্রশ্নের উত্তরে সাকিব জানিয়েছেন, ক্রিকেট ছাড়ার পর কৃষিক্ষেত্রে অবদান রাখতে চাইবেন তিনি। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কৃষি কার্যক্রম শুরুও করেছেন বলে জানালেন সাকিব।

বিজ্ঞাপন

সাকিব বলেন, ‘খুব ছোটবেলা থেকে কৃষি কাজের প্রতি আমার প্রবল আগ্রহ। নানার বাড়িতে থাকতে সূর্য ওঠার আগে মাঠে যেতাম। মরিচ কুড়ানো দেখতাম, ধান কাটা দেখতাম। আমি নিজেই ধান কাটতে গিয়ে রক্ত ঝরিয়েছি। এছাড়াও ধান মাড়ানো, ঢেঁকি ভাঙা এই বিষয়গুলো কৃষির প্রতি আমার আলাদা টানের সৃষ্টি করেছে। আর তাই আমি ছোট আকারে অনেকগুলো ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি কৃষিকে ঘিরে।’

কৃষিভিত্তিক ব্যবসার পরিকল্পনাও জানালেন সাকিব, ‘আমার কৃষি খাতের প্রতি আলাদা আগ্রহ আছে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, আমার ছোট ছোট ব্যবসাগুলো কৃষিকেন্দ্রিক। যদিও আমি এগুলোতে তেমন নজর দেইনি। কিন্তু আমি চেয়েছি আমার খেলা শেষ হতে হতে যেন এগুলা দাঁড়িয়ে যায়। যাতে আমি অবসরের শেষে এসবে মনোযোগ দিতে পারি। আমি ভবিষ্যতে গরু, ছাগলের ফার্ম, মাছ বা কাঁকড়ার হ্যাচারি দিয়ে হলেও কৃষিখাতে অবদান রাখতে চাই। আসলে কৃষির যে কোনো শাখা হতে পারে। যেমন ফুলও হতে পারে। আমি এজন্য ৪০-৫০ শতক জায়গা জুড়ে ফুল চাষ শুরু করেছিলাম। ভালোই চলছিল। যদিও করোনার কারণে তা এখন বন্ধ হয়ে আছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচএস/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন