বিজ্ঞাপন

মাঠে ফিরতে ব্যাকুল সাবিনা-কৃষ্ণারা

May 20, 2020 | 4:27 am

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: করোনাভাইরাসের কালো থাবায় ফুটবল কোলাহলে নিস্তবতা বিরাজ করছে। দুমাস আগেও চঞ্চলমুখর ফুটবলপ্রাঙ্গণটা এখন রূপ নিয়েছে নিঃসঙ্গ নগরীতে। অদৃশ্য এ রোগটা দেশের ফুটবলকেই দাঁড় করিয়ে দিয়েছে কঠিন সময়ে। ঘরে বসে অধীর প্রতীক্ষা ছাড়া কোনও উপায় নাই ফুটবলারদের। একদিকে পুরুষ ফুটবলে তালা ঝুলেছে। অন্যদিকে নারী ফুটবল লিগেও বাজছে করুণ সুর।

তবে আশ্বাস আছে- করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই লিগ শুরু হবে। এমতাবস্থায় ঘরবন্দী নারী ফুটবলাররা যারপরানই মিস করছেন মাঠের ফুটবলকে।

বাফুফের ফেসবুক লাইভ আড্ডায় ফুটবলহীন কষ্টের কথাগুলোই যেন ঝড়লো জাতীয় ফুটবল দলের নারী সদস্যদের। ফেডারেশনের মিডিয়া নির্বাহী অফিসার খালিদ মাহমুদ নওমীর সঞ্চালনায় এই লাইভ আড্ডায় যুক্ত হয়ে ফুটবলহীন ঘরবন্দী জীবনের গল্প শোনাচ্ছিলেন সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রাণী রায়, মিশরাত জাহান মৌসুমী, আঁখি খাতুন, মারিয়া মান্ডা, তহুরা বেগম

বিজ্ঞাপন

করোনাক্রান্তিতে ফুটবলে ছেড়ে ঘরে বসে থাকাটাই যেন বোরিং জীবন হয়ে গেছে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা সাবিনার, ‘আমরা মাঠের মানুষ। মাঠে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। কিন্তু এখন বাসায় থাকতে হচ্ছে এই সময়টা। বোরিং কাটছে।’ ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন যেন সাবিনাকেই পুনরাবৃত্তি করলেন, ‘দুখের কথা হলো টিমম্যাটদের মিস করছি। ফুটবলকে মিস করছি।’

করোনাভাইরাস যেন বড় দুর্ভাগ্যই বয়ে এনেছে মেয়েদের জন্য। সাত বছর পর নারী লিগ মাঠে গড়ালো। পথের দিশা পেল অনেক নারী ফুটবলারই। হঠাৎ করোনা ঝড়ে নারীদের স্বপ্নগুলো ওলটপালট হয়ে গেল। প্রায় দুই মাস ধরে লিগ বন্ধ। ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে ফুটবলাররা। হাত তুলে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা ছাড়া কোনও উপায় নেই দুকুলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা না পর্যন্ত লিগ মাঠে গড়াচ্ছে না।

এই করোনাকে যেন মেনেই নিতে পারছেন না সাবিনাদের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন,‘যখন মানুষ ঘুমায় আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়। সাবিনারা গত চারবছর এভাবেই অতিবাহিত করেছে। ভয়াবহ করোনার কারণে আমাদের জীবনটা অন্য রকম হয়ে গেছে। দুই মাস ঘরে বসা। কষ্টের বিষয় দুই মাস ঘরে বসা।’

বিজ্ঞাপন

যার ফলে ফিটনেস ও মানসিক অবস্থাতে সবচেয়ে বড় ক্ষতি শিকার হতে হবে বলে মনে করেন ছোটন, ‘নারী প্লেয়াররা সবসময় সুপার ফিট থাকতো। আমাদের প্রায়োরিটি থাকতো ফিটনেস। প্রত্যেকটা টুর্নামেন্টের আগে ফিট থাকতাম। ২৪ ঘণ্টা পুরোপুরি ফিট থাকতাম। এই করোনার কারণে এটাতে ব্যাঘাত ঘটছে। আমি মনে করি এখন থেকে খেলার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত থাকা উচিৎ। দুই মাস মানে খেলোয়াড়দের জন্য একটা ডিজেস্টার অবস্থা!’

এই ডিজেস্টারের পুরো চিত্রটা যেন পাওয়া গেল সাবিনার কথায়, ‘মাঠ থেকে যখন ঘরে যায় তাদের পক্ষে ফিটনেস ধরে রাখাটা কষ্ট হয়ে যায়। আমরা কিন্তু ওতটা স্বচ্ছল না। আমাদের আলাদা একটা জায়গা থাকবে এমন নাই। যতটুকু সম্ভব ঘরে থেকেই মৌলিক বেয়ামগুলো করছি। কিছুটা ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব হবে।’

তবে করোনার কাছে হারতে নারাজ ফুটবলাররা। ফুটবলের মতো এ জীবনযুদ্ধেও জয়ী হয়ে আবার মাঠে ফিরে আসার আশ্বাস ফুটবলারদের। এমনটাই যেন হয়। আর তা হলে অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে মাঠে ফিরতে পারবে ফুটবলারদের প্রাণ ফুটবল।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন