বিজ্ঞাপন

সিরাজগঞ্জে সাবেক মন্ত্রীসহ ২৭০ নেতাকর্মীর নামে মামলা

June 18, 2020 | 1:23 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার ১২ দিন পর পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক মন্ত্রী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, তার ছেলে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর লাজুক বিশ্বাস এবং বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরমান হোসেনসহ প্রায় ২৭০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বুধবার(১৭ জুন) মামলা দুটি দায়ের করা হয়। তদন্ত চলছে, আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিলম্বে মামলা দায়েরের প্রসঙ্গে ওসি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক সরকার বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, তার ছেলে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর লাজুক বিশ্বাস, ভাতিজা নান্নু বিশ্বাস ও পৌর কাউন্সিলর যুবদল নেতা আলম প্রমানিকসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ১২০ থেকে ১৪০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

অপরদিকে, সাবেক মন্ত্রীর ছেলে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর লাজুক বিশ্বাস বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরমান হোসেন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াদ আহম্মেদসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জোকনালা গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী শিক্ষিকা উম্মে জহুরার একটি পরিত্যক্ত পুকুর নিয়ে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের দ্বন্দ্ব চলছে। বিষয়টি নিয়ে ৬ জুন বিকেলে জোকনালা বাজারে শালিস ডাকা হয়। নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা খানেক আগেই রফিকুল ইসলামের পক্ষে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন সেখানে হাজির হন। শালিস শুরুতে বিলম্ব হওয়ায় তারা প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পথে সগুনা চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে শিক্ষিকার পক্ষে তার নিকট আত্মীয় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল ও ট্রাকে যাবার পথে শতাধিক লোকজন সেখানে মুখোমুখি হয়। এসময় উভয়পক্ষের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে।

সংঘর্ষে লতিফ বিশ্বাসের পক্ষে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ গুলিবিদ্ধ হন এবং তার পেটে খুড় দিয়ে জখম করা হয়। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।

অপরপক্ষে, যুবলীগ নেতা রেজা গ্রুপের যুবলীগের কর্মী নাজমুলসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ টা মোটরসাইকেল, একটি মাইক্রোবাস ও ট্রাক ভাংচুর করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনার পর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এবং বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা একে অপরকে দায়ী করেছিলেন।

 

সারাবাংলা/জেএইচ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন