বিজ্ঞাপন

করোনার ভুয়া টেস্টের কথা স্বীকার করেছেন আরিফ ও সাবরিনা

July 16, 2020 | 7:01 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) ভুয়া টেস্টের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরী ও চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী। ডিবি পুলিশের কাছে আলাদা জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ তথ্য দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের গেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘সাবরিনার রিমান্ড আজকে শেষ হবে। অন্যদিকে আরিফ আজকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে আসছে।’

সাবরিনাকে ফের রিমান্ডে এনে মুখোমুখি করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ কোম্পানিতে কার কী অবদান, কার কী দায়িত্ব ছিল তা তদন্ত করে দেখা হবে। যার যতটুকু দায় সেই অনুযায়ী তদন্ত করে দেখা হবে।’

বিজ্ঞাপন

আব্দুল বাতেন বলেন, ‘জেকেজি অনলাইনের মাধ্যমে বেশি অর্ডার নিতো। এরপর বাসা থেকে স্যাম্পল নিয়ে আসতো এবং অনলাইনেই রিপোর্ট পাঠাতো। প্রত্যেকের কাছ থেকে তারা তিন হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছে। সেই টাকা কোথায় রেখেছে তা খোঁজা হবে। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো খতিয়ে দেখা হবে। কয়েক কোটি টাকা তারা হাতিয়ে নিয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভেঙে প্রথমে টাকার বিনিময়ে নমুনা পরীক্ষা করা ও পরে ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ জেকেজির প্রধান সমন্বয়ক আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। জেকেজির চেয়ারম্যান সাবরিনা শারমিন হুসেইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী গ্রেফতার হন ১১ জুলাই।

পরদিন মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, জেকেজিতে অপরাধ হয়েছে, এ ব্যাপারে তারা নিশ্চিত। কার দায় কতটুকু তা নির্ধারণে এখন কাজ করছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি নিয়ে জেকেজি সরকারি তিতুমীর কলেজকে তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অস্থায়ী আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করছিল। পিপিইসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।

সারাবাংলা/ইউজে/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন