বিজ্ঞাপন

যুক্তরাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুঈনুদ্দীন’র মামলা

July 19, 2020 | 10:14 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে পলাতক যুদ্ধপরাধী ও কুখ্যাত আলবদর নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। খবর ডেইলি মেইল।

বিজ্ঞাপন

এদিকে মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারে প্রকাশিত এক বার্তায় প্রীতি প্যাটেল তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে উল্লেখ করায় তার মানহানী হয়েছে। এ বাবদ ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করে যুক্তরাজ্যের একটি উচ্চ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে কমিশন ফর কাউন্টারিং এক্সট্রিমিজমের ‘চ্যালেঞ্জিং হেইটফুল এক্সট্রিমিজম’ সংক্রান্ত নথি শেয়ার করে। সেখানে, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবাবিরোধী অপরাধসহ মারাত্মক ফৌজদারি অপরাধে জড়িত হিসেবে মুঈনুদ্দীনের নাম উল্লেখ করা হয়।

ওই নথিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল, বিবিসির সাংবাদিক মিশাল হুসেইন এবং মানবাধিকার কর্মী পিটার ট্যাটচেলসহ অনেকেই রিটুইট করেছেন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, ‘চ্যালেঞ্জিং হেইটফুল এক্সট্রিমিজম’ বিষয়ক ওই প্রতিবেদনে ইউরোপীয় ডেটা সংরক্ষণ বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে তার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে মামলায় দাবি করেছেন আল-বদর নেতা মুঈনুদ্দীন।

তবে, বিষয়টিকে ‘বিচারাধীন’ হিসেবে উল্লেখ করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

উল্লেখ করা যায় যে, ২০১৩ সালে স্থাপিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুই আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় শিক্ষক, ছয় সাংবাদিক ও তিন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

বিজ্ঞাপন

জামায়াতে ইসলামী’র তৎকালীন সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের পলাতক এই দুই কেন্দ্রীয় নেতা মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে ও আশরাফুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আত্মসমর্পণ না করায় তারা আপিলের সুযোগ হারালেও এখন পর্যন্ত তাদেরকে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করতে পারেনি।

বিভিন্ন সময় স্বাধীনতাযুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত থাকা ও জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নর্থ লন্ডনে বসবাসকারী মুঈনুউদ্দিন।

তার দাবি, তিনি যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন। ১৯৭১ সালের সহিংসতায় জড়িতদের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। এমনকি জামায়াতে ইসলামীর ব্রিটিশ শাখার সঙ্গেও তার কোনো যোগসূত্র নেই বা তিনি কখনও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাও ছিলেন না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন