বিজ্ঞাপন

সুশান্তকে অচেতন করে জাল সই দিয়ে টাকা সরাতেন রিয়া!

August 17, 2020 | 11:08 am

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

১০ আগস্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অফিসে সপরিবারে হাজিরা দিতে হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীকে। সেদিন রিয়ার সাথে তার মা-বাবা ও ভাইকেও জেরা করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অফিসের কর্মকর্তারা। সেই সাথে অভিনেত্রী রিয়া, তার ভাই সৌভিক এবং বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি অফিসের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রিয়ার পরিবারের দু’টি ল্যাপটপ এবং দু’টি আইপ্যাডও।

বিজ্ঞাপন

সেই সময় ইডি অফিসের পক্ষ থেকে জানান হয়, রিয়ার পরিবারের প্রত্যেকের কললিস্ট খতিয়ে দেখা হবে। আর এতেই প্রকাশ্যে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুশান্ত সিং রাজপুতের দুটি ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে টাকা তোলা হয়। সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে এই ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে টাকা তুলে নেন রিয়া।

এখানেই শেষ নয়! এবার নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য- সুশান্তকে অচেতন করে রেখে, তার সই জাল করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী! সম্প্রতি ইডির জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী। শুধু তাই নয়! জানা যাচ্ছে, রিয়ার বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হতেও সম্মত হয়েছেন শ্রুতি মোদী।

বিজ্ঞাপন

ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সুত্রে জানা যায়, শ্রুতি মোদী ইডির জেরায় জানিয়েছেন, সুশান্তকে প্রায় ৩ মাস ওষুধ দিয়ে অচেতন করে রেখেছিলেন রিয়া। সেসময়ই সুশান্তের সই নকল করে তার অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের টাকা সরিয়ে নেন তিনি। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে সুশান্তের প্যানকার্ড-সহ কোম্পানির বেশ কিছু কাগজপত্র। পুরনো কাগজপত্রে থাকা সুশান্তের সইয়ের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক কালের বেশকিছু সই মিলছে না বলে দাবি করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সুশান্তের বাবা আগেই পাটনার রাজীবনগর থানায় রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, রিয়া এবং তার পরিবার সুশান্তের টাকা আত্মসাৎ করে তাকে নিজের পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন। এমন কি মোটা অঙ্কের টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়েও নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তকে মানসিক অবসাদের ঔষধের ওভারডোজ দেওয়ারও অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। জানা গেছে, সুশান্তের পরিবার থেকে করা যাবতীয় অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করছে ইডি। এখন পুরো বিষয়টিই ইডি-র তদন্তাধীন রয়েছে। তবে সুশান্ত মৃত্যুর ঘটনায় ‘সিবিআই’ নাকি মুম্বাই পুলিশ বা বিহার পুলিস- কারা তদন্ত করবে তা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর নির্ভর করছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএসজি

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন