বিজ্ঞাপন

পাবনা-৪ উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব

August 31, 2020 | 8:17 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় পাবনা-৪ উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির পর বিএনপিও প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে এই উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উপনির্বাচনগুলোতে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরই মধ্যে পাবনা-৪ উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছি। ওখানে আমাদের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।’

সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান হাবিব এর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। এই আসনের সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এবার উপনির্বাচনে হাবিবের প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম

নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন হাবিবুর রহমান হাবিব। ছাত্রজীবন শেষ করে দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। পরে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসন থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে।

বিজ্ঞাপন

নিজের প্রার্থিতা সম্পর্কে সোমবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘মনোনয়ন বোর্ড আমাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। এ জন্য দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ভোটারদের কাছে আমার আবেদন— আপনারা গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ভোটি দিতে আসবেন।’

এর আগে, গত ২ এপ্রিল তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পাবনা-৪ (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) আসনের সংসদ সদস্য ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। তার মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। আসনটি শূন্য হয়ে যাওয়ার পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে পারেনি ইসি। এর পরের ৯০ দিনের মধ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে ২৩ আগস্ট উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন