বিজ্ঞাপন

হকার সরাতে নিজেই নামলেন সুজন, হাতজোড় করলেন-ধমকও দিলেন

September 6, 2020 | 10:05 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ফুটপাত থেকে হকার এবং তাদের স্থাপনা সরাতে নিজেই পথে নেমেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এসময় তিনি হকার নেতাদের কখনও ধমকের সুরে, কখনও হাতজোড় করে অনুরোধ করে রাস্তা এবং ফুটপাত ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। আইন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর নিউমার্কেট, স্টেশন রোড, ফলমণ্ডি বাজার হয়ে মাঝিরঘাট পর্যন্ত এলাকা পরিদর্শন করেন চসিক প্রশাসক সুজন।

জানা যায়, নিউমার্কেট এলাকায় ফুটপাত ও রাস্তাজুড়ে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসা হকারদের দেখে গাড়ি থেকে নামেন সুজন। এসময় প্রশাসককে দেখে নিউমার্কেটের বিপরীতে রাস্তার ওপর বসা হকারদের দ্রুত দোকান গুটিয়ে নিতে দেখা যায়। রাস্তা দখল করে রাখা কয়েকটি ফলের ভ্যান, চা-দোকানিদের তিনি সরে যাবার অনুরোধ করলে তারা চলে যান।

ফুটপাতে অস্থায়ী স্থাপনা বানানো হকারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনুরোধ করছি, মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করবেন না। আপনাদের মাঝে মাঝে ‍তুলে দেওয়া হয়, পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায়, পরদিন পত্রিকায় ছবি আসে, এটা তো সম্মানের নয়, লজ্জার। আমি হকার উচ্ছেদের পক্ষে নই। কিন্তু নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। আমি কঠোর হতে চাই না। আমাকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যেই ব্যবসা করেন। কিন্তু ফুটপাতে-রাস্তায় দোকান বানিয়ে মানুষের হাঁটাচলায় সমস্যা করবেন, যানজট সৃষ্টি করবেন- এটা আমি মানবো না।’

বিজ্ঞাপন

এসময় কয়েকজন হকার নেতাকে সামনে পেয়ে চসিকের নির্দেশনা না মানায় তাদের ওপর চড়াও হন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ২৪ আগস্ট চট্টগ্রামের হকার নেতাদের নিয়ে বসেছিলেন প্রশাসক। ওই বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফুটপাতে ব্যবসার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে ফুটপাত থেকে অস্থায়ী স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কথা দিয়েছিলেন হকার নেতারা। কিন্তু রোববার পরিদর্শনে গিয়ে ফুটপাতে স্থাপনা বানিয়ে কেনাবেচা অব্যাহত রাখতে দেখেন চসিক প্রশাসক। এছাড়া সড়ক দখল করেও কেনাবেচা দেখতে পান তিনি।

বিজ্ঞাপন

এসময় তিনি বলেন, ‘এখনও দেখছি, সড়কে ও ফুটপাতে বেঁধে দেওয়া টাইমফ্রেম ও নিয়ম-নীতি কিছুই যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না। আমি কোনোভাবেই পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদের পক্ষে নই। কিন্তু অনেক সড়কে নিষেধ সত্বেও হকাররা চৌকি বসিয়েছে, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী স্থাপনা ও ছাউনি বানিয়ে রেখেছে। রাস্তায় যানবাহন ও পথচারি চলাচলের অংশেও তারা ব্যবসার পসরা সাজিয়েছেন। ফুটপাতের জায়গায় চলাচলের পথে বড় বড় চৌকি বসিয়েছেন। এ আচরণ সহ্যের সীমানা অতিক্রম করেছে।’

রাস্তার ওপর থেকে স্থাপনা না সরালে জব্দ করে নিলামে তোলা হবে বলে হকারদের হুঁশিয়ার করেন চসিক প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, হকার নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই নিয়েছি। কেউ যদি আমাকে দুর্বল মনে করেন ভুল করবেন।’

চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেমসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন