বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিসভায় উঠতে পারে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি আইনের সংশোধনী

May 6, 2024 | 8:42 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্দেশে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে ‘জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি’ আইনটি যুগপযোগী ও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আইনটির সংশোধনী খসড়া সোমবার (৬ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

খসড়ায় জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আরও জানা যায়, খসড়া আইনটিতে একটি বোর্ড গঠনের কথা বলা হয়েছে। সেখানে জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে প্রধান বা চেয়ারম্যান করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি বোর্ড থাকেবে। এই বোর্ড পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি পরিচালনা করবে। এই বোর্ডে আরো থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী; (যদি থাকেন), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী; (যদি থাকেন), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব, বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর, জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর, বোর্ডের চেয়ারপারসনের মনোনীত কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডস্ট্রিজের সভাপতি, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির রেক্টর বোর্ডের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বলা হয়েছে খসড়াতে।

সরকারি কর্মচারী ও বেসরকারি প্রতিনিধিরা পদাধিকার বলে ৩ বছরের জন্য বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হবেন। বোর্ডের সভায় কোরামের জন্য সোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যকে উপস্থিত থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ভোটাধিকার থাকবে। সভায় উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের অধিকার থাকবে। বোর্ডের সদস্য-সচিব সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষণ ও সদস্যদের কাছে পাঠাবেন এবং পরবর্তী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করিবেন। শুধু কোনো সদস্যপদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। প্রতি বছর বোর্ডের অন্যূন ২টি সভা হবে। নীতিগত বিষয়ে বোর্ডের কার্যাবলি, সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে দেয়া নির্দেশনা-অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

একাডেমির কার্যাবলির ব্যবস্থাপনা ও বোর্ডের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন। প্রবিধানমালার বিধান ও সরকারের পূর্বানুমোদন-সাপেক্ষে, একাডেমির কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি এবং সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা কার্যকর করবেন। একাডেমির প্রশাসন পরিচালনা এবং তহবিল ব্যবস্থাপনা একাডেমির কার্যাবলি হবে। তহবিলের অর্থ, বোর্ডের অনুমোদনক্রমে, কোনো তপশিলি ব্যাংকে একাডেমির নামে জমা রাখবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করবে।

আরও বলা হয়েছে, সরকারের প্রচলিত নিয়ম-নীতি বা বিধিবিধান অনুসরণ করে একাডেমির কার্যাবলি সম্পাদন এবং রেক্টর ও একাডেমির কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও সম্মানিসহ আনুষঙ্গিক সব ব্যয় তহবিল থেকে নির্বাহ করতে হবে। একাডেমি, প্রত্যেক বছর, সরকারের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ-বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে। এতে ওই অর্থ-বৎসরে একাডেমির কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে তার উল্লেখ থাকবে।

বিজ্ঞাপন

বোর্ড সরকারের পূর্বানুমোদন নিয়ে এই আইন ও প্রণীত বিধির সঙ্গে অসামঞ্জস্য না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করতে পারবে। এই আইনের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে ‘জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি আইন, ২০১৮ রহিত করা হবে।

উল্লেখ্য, সময়ের পরিক্রমায় এই একাডেমির গুরুত্ব ও কর্মপরিধি বহুলাংশে বৃদ্ধির ফলে এর আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও যুগোপযোগী করতেই নতুন আইন প্রণয়ন করেছে সরকার।

সারাবাংলা/জেআর/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন