বিজ্ঞাপন

‘স্কুল খুলে দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি’

September 9, 2020 | 5:41 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন। তিনি বলছেন, স্কুল খোলার পরিবেশ তৈরি হলে প্রস্তুতি নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা গাইডলাইন অনুসরণ করবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিজ্ঞাপন

বুধবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সচিব। এসময় তিনি জানান, মন্ত্রণালয় যেকোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটি আগেভাবেই সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- প্রাথমিক খুললে প্রয়োজনে একেক দিন একেক শ্রেণির ক্লাস

এর আগে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) করোনা পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলতে হলে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে, সে সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমরা করোনা পরবর্তী সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে চলবে, তার বিস্তারিত উল্লেখ করে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন তৈরি করেছি। বিদ্যালয় খোলার আগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সে গাইডলাইন পাঠিয়ে দেবো এবং সবাই তা অনুসরণ করবে। গাইডলাইনে আমরা বিদ্যালয় খোলার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে বলেছি, বেঞ্চ থেকে শুরু করে চেয়ার টেবিল দরজা, মেঝে, বোর্ড, এমনকি শ্রেণিকক্ষের দেয়ালও জীবাণুমুক্ত করতে বলেছি। হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, দূরত্ব বজায় রাখা, শিডিউল করে ক্লাস নেওয়া এবং মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জারি করা সব স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে গাইডলাইনে।

প্রাথমিক বিদ্যালয় খুললেও সেটিকে সর্বোচ্চ নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সিনির সচিব আকরাম আল হোসেন। তিনি বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি, সেখানে শিফটিং করতে হবে। একদিন এক শ্রেণিকে স্কুলে আনলে পরদিন আরেক শ্রেণিকে আনতে হবে— এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে খোলার পরিকল্পনা করবে স্কুলগুলো। এই পরিকল্পনা প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পর এসব গাইডলাইন মেনে বিদ্যালয়গুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না, সেটিও তারাই তদারকি করবেন।

আরও পড়ুন- প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলতে প্রস্তুতির নির্দেশিকা জারি

বিজ্ঞাপন

এর আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি বিষয়ক নির্দেশিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী তো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। ফলে সাধারণ ছুটির সময় বাদ দিলে সরকারি অন্যান্য অফিসের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিশিয়াল কার্যক্রমও বন্ধ ছিল না। তাছাড়া আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখব, যেন স্কুল খোলার পরিবেশ তৈরি হলে সময় নষ্ট না করেই যেন আমরা তা খুলতে পারি।

সচিব ফের মনে করিয়ে দেন, এসব নির্দেশনা বা নির্দেশিকা কেবলই প্রস্তুতিমূলক। করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এখনো বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি। এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে আমরা কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলতে পারি না।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন