বিজ্ঞাপন

প্রেসিডেন্ট’স কাপ: মাহমুদউল্লাহ একাদশ থামল ১৯৬ রানে

October 11, 2020 | 5:52 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

রোববার (১১ অক্টোবর) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের উদ্বোধনী ঘোষণার মধ্য দিয়ে পর্দা উঠল প্রেসিডেন্ট’স কাপের। তার আগে করোনা শহীদদের উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২২ গজের লড়াইয়ে নেমে পড়েন উদ্বোধনী ম্যাচের দুই দলের ক্রিকেটাররা।

বিজ্ঞাপন

তিন দলের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশের মোকাবিলা করছে নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ। মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিরুদ্ধে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশের অধিনায়ক শান্ত। নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই ১৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ একাদশ। ৪৭ দশমিক ৩ ওভার ১৯৬ রানে অল আউট হয় মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

রিয়াদ একাদশ: নাঈম শেখ, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নুরুল হোসেন সোহান, রাকিবুল হাসান, ইবাদত হোসেন, রুবেল হোসেন এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

শান্ত একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, তাসকিন আহমেদ, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, নাইম হাসান এবং রিশাদ আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৩ ওভার শেষে মাহমুদউল্লাহ একাদশের সংগ্রহ করে বিনা উইকেটে ১৭ রান। ৭ বলে ৭ রানে লিটন দাস ও নাঈম শেখ ১১ বলে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।  এরপরেই শরৎ-এর অনাহুত অতিথি বৃষ্টির হানায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। আর সেটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায় রিয়াদ একাদশের জন্য। বৃষ্টি শেষে খেলা আবারও মাঠে গড়ানোর প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন নাঈম শেখ। এরপর উইকেটে আসেন মুমিনুল হক।

এদিকে হঠাৎ করে উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে রিয়াদ একাদশ। অন্যদিকে এই চাপের সুযোগ নিয়ে আরেক ওপেনার লিটন দাসকে তুলে নেন তাসকিন। বিসিবি’র আয়োজিত প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই অগ্নি গোলা ছুঁড়ছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। সেই ধারা ধরে রাখলেন প্রেসিডেন্ট’স কাপেও। দুর্দান্ত বোলিংয়ে লিটনকে (১১) বোল্ড করে তুলে নিলেন দিনের প্রথম উইকেট। রিয়াদের দলের সংগ্রহ তখন ৪ দশমিক ৪ ওভারে ২১ রানে ২ উইকেট।

বিজ্ঞাপন

লিটনের ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই প্যাভিলিয়নের পথে হাটেন প্রস্তুতি ম্যাচে শতক হাঁকান মুমিনুল হক। আল আমিনের বলে বোল্ড হয়ে ৬ বলে শূন্য রানে ফেরেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক। দলীয় মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে রিয়াদ একাদশ। আর তখনই উইকেটে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েসকে নিয়ে গড়েন ৭৩ রানের দুর্দান্ত এক জুটি।

চতুর্থ উইকেটে ইমরুউল-রিয়াদের জুটি আশা দেখাচ্ছিল বড় সংগ্রহের। তবে স্বপ্নে বাগড়া দিলেন নাইম হাসান। ইমরুলের ৫০ বলে ৪০ রানের চাপের মুহূর্তের দুর্দান্ত ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে নাইমের বলে সাইফের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। ইমরুল ফিরলেও অধিনায়ক রিয়াদ তুলে নেন তার অর্ধশতক। রিয়াদ ক্রিজে থাকলেও বাকিরা উইকেট আকড়ে ধরে রাখতে পারেনি। তাই তো দলীয় ১২৬ এবং ব্যক্তিগত মাত্র ১৪ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান।

এরপর সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে শান্ত একাদশের বোলারদের মোকাবিলা করছিলেন মাহমুদুল্লাহ। তবে আর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি রিয়াদ। ব্যক্তিগত ৫১ রানে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে আফিফের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। স্কোরবোর্ডে রিয়াদ একাদশের সে সময় সংগ্রহ ৩৫ দশমিক ১ ওভারে ১৫৯ রান। রিয়াদ ফেরার তিন বলের মাথায় সেট হয়েও মুগ্ধর কট অ্যান্ড বোল্ডে ফেরেন সাব্বির রহমান। তার আগে নামের পাশে যোগ করতে পারেন মাত্র ২১ রান।

বিজ্ঞাপন

এরপর তাসকিন আহমেদের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (৬)। শেষ দিকে আবু হায়দার রনি ১৪ এবং রাকিবুল ইসলামের ১৫ রানে ভর করে ১৯৬ রান তোলে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই অবশ্য গুটিয়ে যায় তাদের ব্যাটিং ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৪৭.৩ ওভারে থামে মাহমুদুল্লাহ একাদশের ব্যাটিং ইনিংস। বল হাতে এদিন দুর্দান্ত ছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। নিজের কোটার ১০ ওভারে মাত্র ৩৭ রানের বিনিময়ে নেন ২টি উইকেট। আরেক পেসার আল আমিন হোসেনও ১০ ওভারে নেন ২টি উইকেট তবে তিনি রান দেন ৪০। এছাড়াও ২টি উইকেট নিয়েছেন তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। তিনি ৯ ওভারে দিয়েছেন ৪৪ রান। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার নাইম হাসান এবং সৌম্য সরকার।

স্কোরবোর্ড:

টস: নাজমুল হাসান শান্ত টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন।

মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ১৯৬/১০ (মাহমুদুল্লাহ ৫১, ইমরুল ৪০, সাব্বির ২১), (তাসকিন ২/৩৭; আল-আমিন ২/৪০; মুগ্ধ্ব ২/৪৪)

নাজমুল একাদশের লক্ষ্য নির্ধারিত ৫০ ওভারর ১৯৭ রানের।

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন