বিজ্ঞাপন

মুগ্ধ করলেন তরুণ হৃদয়, প্রথম ম্যাচে শান্তদের জয়

October 11, 2020 | 10:17 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

আলোচিত প্রেসিডেন্ট’স কাপের প্রথম ম্যাচে জিতেছে শান্ত একাদশ। অল্প রানের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছেন শান্তরা। তারুণ্যনির্ভর দলটির উদ্বোধনী ম্যাচের জয়ে বড় অবদান তৌহিদ হৃদয়ের।

বিজ্ঞাপন

হৃদয়কে ’আগামী দিনের তারকা’ ভাবা হয় অনেক আগে থেকেই। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে রান করেছেন মুড়িমুড়কির মতো। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড তার দখলে। টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করে একটা বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন। বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান ছিল তার। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের ছাপটা রেখেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও।

লিস্ট ’এ’তে ১৯ বছর বয়সী তরুণের গড় ৪৫.৫৫। ২৩ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ১টি, হাফ সেঞ্চুরি ৭টি। বিশ্বকাপ জেতার পর সবে প্রিমিয়ার লিগ খেলতে শুরু করেছিলেন, করোনার আগমন তখনই। হৃদয় সেই মার্চ থেকে ক্রিকেটের বাইরে। তবে লম্বা বিরতি যে স্কিলে মরচে ধরাতে পারেনি সেটা দেখালেন আজ।

বিজ্ঞাপন

খুব বড় ইনিংস অবশ্য খেলেননি। ৬৭ বল খেলে ২টি করে চার-ছয় মেরে করেছেন ৫২ রান। কিন্তু পরিস্থিতি বিচারে এই ইনিংসটির মাহত্ব অনেক। প্রেসিডেন্ট’স কাপে মাহমুদউল্লাহ একাদশের দেওয়া ১৯৬ রানের জবাব দিতে নেমে ৭৯ রান তুলতেই দলের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান- সাইফ হাসান (১৭), সৌম্য সরকার (২১), মুশফিকুর রহিম (১), আফিফ হোসেন ধ্রুব (৪) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (২৮) বিদায়। তারপর স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে অপরাজিত ছিলেন কেবল হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর।

সেই অভিজ্ঞ শুক্কুরকে নিয়ে দলকে টেনেছেন হৃদয়। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের জুটি ছিল ১০৫ রানের। শুরুতে চেপে ধরা মাহমুদউল্লাহ একাদশ ম্যাচটা হেরেছে সেখানেই। শেষ অবদি অবশ্য হতাশা নিয়ে ফিরেছেন হৃদয়।

জয়ের জন্য যখন মাত্র ১৩ রান প্রয়োজন তখন আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেছেন। অন্যপাশে ৭৮ বলে ৬ চারে ৫৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন শুক্কুর। ৪১.১ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৯৭ রান তুলে ফেলে শান্ত একদশ। মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে ৪৬ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন

বিজ্ঞাপন

এর আগে স্কোর দুইশ’র ঘরে না যেতেই নির্ধারিত ওভারের ১৫ বল আগে গুটিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেঁছে নিয়ে বোলারদের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন শান্ত একাদশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। নতুন বলে শুরুতে আগুন ঝড়িয়েছেন শান্ত একাদশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও আল-আমিন হোসেন।

তিন ওভার পরই বৃষ্টির কারণে খেলা থেমে যায়, কিন্তু তাসকিন-আল আমিনের আগ্রসন থামেনি। বৃষ্টি থামলে এই দুই পেসারকে ঠিকভাবে খেলতেই পারছিলেন না মাহমুদউল্লাহ একাদশের দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন কুমার দাস। চাপ থেকে বেরুতে গিয়ে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে রান আউট হয়ে ফিরেছেন নাঈম। পরের ওভারে লিটন দাসের স্ট্যাম্প উপড়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাসকিন। টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক আল-আমিনের বলে বোল্ড হলেন পঞ্চম ওভারে, নাজমুল একাদশ তখন ২১/৩।

সেই কঠিন অবস্থাতে এসে হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েস। কদিন আগে দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে রান পাওয়া ইমরুল নেমেছিলেন চার নম্বরে, টেস্ট দলে জায়গা হারানো মাহমুদউল্লাহ পাঁচে।

বিজ্ঞাপন

পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৭৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলেছেন দুজন। তবে এই দুজন ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ একাদশের নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের সেভাবে দাঁড়াতে দেননি শান্ত একাদশের বোলাররা।

৯৪ রানের মাথায় ৫০ বলে ৩ চার ১ ছয়ে ৪০ রান করে ফিরেছেন ইমরুল। ইনিংসের একমাত্র ফিফটির মালিক মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন ৮২ বলে ৫১ করে। তার ব্যাট থেকেও চারের মার এসেছে ৩টি, ছক্কা ১টি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২২ করেছেন সাতে নামা সাব্বির রহমান।

মাহমুদউল্লাহ একাদশ শেষ পর্যন্ত থেমেছে ১৯৬ রানে। শান্ত একাদশের হয়ে তাসকিন ৩৭ রানে, আল-আমিন ৪০ রানে ও মুকিদুল ইসলাম ৪৪ রানে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার ও নাঈম হাসান।

সারাবাংলা/এসএইচএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন