বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানের ৯ ক্রিকেটার, তিন কর্মকর্তা ভেঙেছে সুরক্ষা বলয়

October 17, 2020 | 2:35 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

পাকিস্তান ক্রিকেটের বোর্ড-পিসিবি তাদের ক্রিকেটারদের জন্য ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ মাঠে ফিরিয়েছিল। সেখানে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তৈরি করেছিল জৈব-সুরক্ষা বলয়ও। তবে সেই জৈব-সুরক্ষা বলয়ও ভেঙেছেন ৯ ক্রিকেটার এবং তিন কর্মকর্তাও। আর তাতেই বেশ হতাশা প্রকাশ করেছে পিসিবি এবং সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে।

বিজ্ঞাপন

পিসিবি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, আবার কেউ এমন কিছু করলে তাকে এই টুর্নামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া হবে, এবং ভবিষ্যতেও এর ফল ভোগ করতে হবে।

ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ উপলক্ষ্যে রাওয়াপিন্ডিতে টিম হোটেল ও স্টেডিয়ামে জৈব-সুরক্ষা বলয় তৈরি করে পিসিবি। আর টুর্নামেন্ট চলাকালেই পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ৯ ক্রিকেটার এবং ৩ কর্মকর্তা ভেঙেছেন স্বাস্থ্য আইন। এরপর তা স্বীকারও করেছে পিসিবি।

পিসিবির হাই পারফরম্যান্স সেন্টারের পরিচালক নাদিম খান বলেছেন, এবার কেবল সতর্ক করে ছাড় দেওয়া হলেও সামনে এ ধরনের ঘটনায় কেউ পার পাবে না। ‘পিসিবি খুবই হতাশ যে, কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার ও কর্মকর্তা ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে জৈব-সুরক্ষা বলয় ভেঙেছেন। এটা করে তারা টুর্নামেন্টের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং তাদের সতীর্থদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

নাদিম খান আরও বলেন, ‘পিসিবি’র কাছে এটা মোটেই অগ্রহণযোগ্য। সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সামনে সুরক্ষা বলয় ভাঙার ক্ষেত্রে সামান্যতম ছাড় দেওয়া হবে না এবং কেউ ভাঙলে তাকে চলতি আসর থেকে ও ভবিষ্যতেও টুর্নামেন্ট থেকে প্রত্যাহার করে দেওয়া হবে।’

এই ঘটনার পর স্বাস্থ্য আইন ভঙ্গকারী ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তাদের নাম অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়নি পিসিবি। তবে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায় সেই ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ হাফিজ, ইয়াসির শাহ, ফখর জামান, ইমাম-উল-হক, খুররম মঞ্জুর, কামরান বাকমল, সোহেল খান, আনোয়ার আলি ও উসমান খান শিনওয়ারি। আর তিন কর্মকর্তারা হচ্ছেন সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলি, আব্দুল রাজ্জাক ও রশিদ খান।

জৈব-সুরক্ষা বলয় ভাঙার পর জড়িত ১২ জনকেই আবারও কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়, যেখানে তাদের সবার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আর সেই সঙ্গে পরীক্ষার সমস্ত খরচও বহন করতে হয়েছে তাদের নিজেদের।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন