বিজ্ঞাপন

জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাব: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

November 1, 2020 | 3:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে (বীরপ্রতীক) সহকর্মী কর্মকর্তারা সংবর্ধনা দিয়েছেন। রোববার (১ নভেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। বিখ্যাত ক্র্যাক প্লাটুনের একজন যোদ্ধা হিসেবে দুঃসাহসিকতার সঙ্গে বিভিন্ন সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়েছেন। পিতার হাত থেকে পুরস্কার, কন্যার হাত থেকে পুরস্কার এ দুটিই আমি পেয়েছি। এরকম ভাগ্য কার আছে? আর আমার পাওয়ার কিছু নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা পুরস্কার আমাকে দেশ গঠনের কাজে আরও অনুপ্রাণিত করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাব। দেশের উন্নয়ন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি,এটাই সবার কাছে আমার কামনা।’ এসময় মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে দেশকে সোনার বাংলা গড়তে সরকার কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক নাগরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০’ দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ভূষিতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

এবছর স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন— স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ (মরণোত্তর), শহীদ বুদ্ধিজীবী মুহম্মদ আনোয়ার পাশা (মরণোত্তর) ও আজিজুর রহমান, চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুক্‌তাদির এবং সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার। এছাড়া, শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতেশ্বরী হোমস্‌কে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন