বিজ্ঞাপন

‘বিএনপির কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে মুখে শেখ ফরিদ আর বগলে ইট’

November 29, 2020 | 4:32 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নিজেরা না পেরে পরাশ্রয়ী আন্দোলনে ভর করে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে মুখে শেখ ফরিদ আর বগলে ইট।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ নভেম্বর) সকালে তিনি তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যেসব জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়নি এবং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব জেলায় দ্রুত কাউন্সিলের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। জেলা সম্মেলনের আগে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে।’ নেতাকর্মীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাউন্সিল করার নির্দেশনাও দেন তিনি।

চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, দখলদার ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কাউকে দলে নেওয়া যাবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ত্যাগী নেতাকর্মীদের জন্য রাজনীতিতে টিকে থাকার এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ সৃষ্টি করে দিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সরকার না কি শাসন দীর্ঘায়িত করতে চায়- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে পরবর্তী নির্বাচন হবে। তাই শাসন দীর্ঘায়িত করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই, এমনকি সুযোগও নেই।’

নির্বাচনের পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যেতে নানান অগণতান্ত্রিক পথ খোঁজা বিএনপির পুরনো অভ্যাস জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের দুঃশাসন এখনও মানুষকে তাড়া করে। তাই তারা জনমানুষের আস্থা হারিয়েছে।’ শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়ন বান্ধব সরকার, দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিচ্ছে বলেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব দেশের মানুষের স্বস্তি দেখতে পান না, দেখতে পান অপরাধীদের ভীতসন্ত্রস্ত মুখচ্ছবি। আওয়ামী লীগ কোনো খেলা বা ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। বরং আওয়ামী লীগই বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। বিএনপিই পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্রে তত্ত্বে বিশ্বাসী। তারাই ক্ষমতার জন্য অপকৌশল ও দেশবিদেশে বিভিন্ন খেলা খেলছে।’

বিজ্ঞাপন

মাগুরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারা হামলা করেছে তার তদন্ত হওয়া দরকার।’ এ ঘটনা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ কি না তাও খতিয়ে দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, অপরাধী কোনো দলের নয়। কিন্তু কোনো ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করা হলে বিএনপি অভিযোগ করে বলে সরকার দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা বলছেন। আমরা বলব, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আগে নিজের দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন। বক্তব্য-বিবৃতি আর গুজব অপপ্রচার চালিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। এজন্য জনগণের সমর্থন প্রয়োজন হয়। আর জনসমর্থন পেতে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের কাছ না গিয়ে তাদের সুখে-দুঃখে পাশে না দাঁড়িয়ে নির্বাচনকে উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্নবিদ্ধ করা, গোপনে সরকার পতনের অলিগলির পথ খোঁজা আর দেশে-বিদেশে গোপন বৈঠক করা তাদের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার রাজনীতির অংশ হয়ে গেছে।’

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন