বিজ্ঞাপন

দুর্গাপুর মুক্ত দিবস আজ

December 6, 2020 | 4:11 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নেত্রকোনা: আজ ৬ ডিসেম্বর, ঐতিহাসিক দুর্গাপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী এক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুরকে পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত করে।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধকালে পাক হানাদার বাহিনীর মেজর সুলতানের নেতৃত্বে দুর্গাপুরের মিশনারিজ এলাকা বিরিশিরিতে একটি শক্তিশালী পাকসেনা ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল। এখানে বসেই পাকসেনারা বাংলার কুখ্যাত দালাল, আলবদর, রাজাকারদের সহযোগিতায় তারা নিয়ন্ত্রণ করত দুর্গাপুর সদরসহ কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকা লেংগুড়া, নাজিরপুর এবং দুর্গাপুরের বিজয়পুর। সেইসাথে রাতের আধাঁরে বিরিশিরির বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো মুক্তিকামী মানুষদের।

যাদের সর্বপ্রথম হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে রয়েছেন- দুর্গাপুর কৃষাণ কলেজের অধ্যক্ষ আরজ আলী, সাবেক প্রধান শিক্ষক আশুতোষ সান্যাল, এমকেসিএম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আওয়াল, দুর্গাপুরের তদানীন্তন এমএনএ পুরাকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন উল্লেখযোগ্য।

দুর্গাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমীন চুন্নু জানান, ১৯৭১ সালের ৪ মে ২ জন পাক সেনা গাঁওকান্দিয়া গ্রামে গিয়ে নারী ধর্ষনের চেষ্টা চালালে ছোট্টুনীর নেতৃত্বে গ্রামবাসীরা তাদের ধরে কুপিয়ে হত্যা করে। এরই জেরে ৫ মে বিরিশিরি ক্যান্টনমেন্ট থেকে এক ঝাঁক পাক সেনা গাঁওকান্দিয়া গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষসহ ১৯ জন গ্রামবাসীকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে গুলি ও পুড়িয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে। এছাড়া সুসং ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দিলদার হোসেন, কৃষক ইমাম হোসেন, বিল্লাল হোসেনসহ নাম না জানা আরও অনেককেই হত্যা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, বিজয়পুর সংলগ্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর একটি ব্রাশফায়ারে ১০জন পাক সেনাকে হত্যা করে এগিয়ে আসার সময় পাক হায়েনাদের গুলিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সন্তোষ বিশ্বাস মারা যান। তারই নামানুসারে দুর্গাপুর সদরে নির্মিত হয় শহীদ সন্তোষ পার্ক। দুর্গাপুরে মুক্তিযুদ্ধে আরও ২ জন শহীদ হলেন সুধীর হাজং ও আব্দুল জব্বার।

দিবসটিকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব, স্থানীয় সুধীজন ও স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের শুভ সূচনা র‌্যালি ও আলোচনা সভা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন