বিজ্ঞাপন

দায়িত্ব পেয়েই খাল পরিষ্কার শুরু করেছে ডিএসসিসি

January 2, 2021 | 5:41 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দায়িত্ব গ্রহণের পর খাল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আগামী বর্ষার আগেই এপ্রিলের মধ্যেই খালগুলো পরিষ্কার করে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে চায় নগর কর্তৃপক্ষ। এজন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পান্থপথ সড়কের পান্থকুঞ্জ পার্কের বক্স কার্লভার্ট পরিষ্কারের মাধ্যমে খাল উদ্ধার, পরিষ্কার এবং রক্ষাণাবেক্ষণের কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএসসিসি।

পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘মেয়র নির্দেশ নিয়েছেন। আমরা কোনো বিলম্ব না করে কাজ শুরু করেছি। আশা করছি আমরা সফল হবো। আমরা যাতে এপ্রিলের শুরু থেকে ঢাকা শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে পারি সে পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, এপ্রিলের মধ্যে আমরা তিনটা খাল এবং দুইটা কালভার্ট সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করতে পারব। যদি এ সময়ের মধ্যে খাল এবং কালভার্ট পরিষ্কার করতে পারি, তাহলে আমরা বিশ্বাস করি, এ বছর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক পরিচ্ছন্নতা কাজ, এরপর সীমানা নির্ধারণ কাজ, তারপর সেগুলো উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ করে আমরা ওখান থেকে বর্জ্য অপসারণ করব। আজ আমরা কাজ শুরু করলাম, দেখি ভেতরে কি আছে। এর ওপর নির্ভর করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণ করব।‘

বিজ্ঞাপন

এ সময় ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, ‘পান্থকুঞ্জ পার্কের ভেতরে যে বক্স কালভার্ট রয়েছে। সেটির গভীরতা দুই রকম আছে। ১১ ফিট থেকে ২০-২২ ফিট আছে। আমরা সঠিক মাপটা বের করব।’ এছাড়া তিনি জানান, পান্থপথ খালের মোট ২৪টি মুখ রয়েছে। এরমধ্যে প্রথম দিনেই তিনটি মুখ পরিষ্কারে কাজ শুরু করেছে।

কেবল মুখ পরিষ্কার করাটা খালের পানি প্রবাহে কতটা ফলপ্রসূ হবে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কার্লভার্টের মুখ পরিষ্কার করলে হবে না। ভেতরে লোক প্রবেশ করাতে হবে। মেশিন প্রবেশ করাতে হবে। ক্রেন প্রবেশ করাতে হবে। প্রেসার দিয়ে পানি দিতে হবে। আমরা দেখলাম অনেক কানেকশন বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ২০০ মিটার করে আগাবো।‘

ওয়াসা থেকে যন্ত্রপাতি এবং জনবল সহযোগিতা নিয়ে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ওয়াসার সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী আমরা ওয়াসার যন্ত্রপাতি, ওনাদের যে নলেজ সেটাও পাব। আমাদের যে প্রকৌশলীরা রয়েছেন, তারা সেটা বুঝে নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

কার্লভার্টের উপর কোনো অবৈধ স্থাপনা নেই জানিয়ে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, কালভার্টের উপর কোনো অবৈধ স্থাপনা নাই। সীমানা নির্ধারণপূর্বক বুঝা যাবে কার্লভার্টের বাইরে কোনো অবৈধ স্থাপনা আছে কিনা। কার্লভার্টের ভেতর কোনো স্থাপনা নেই।

সারাবাংলা/এসএইচ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন