বিজ্ঞাপন

কোভ্যাকসিন নিয়ে আপত্তি তুলেছে ছত্তিশগড়

February 12, 2021 | 4:34 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বিতর্ক তুঙ্গে। কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে কোভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধের আবেদন জানিয়েছে ছত্তিশগড় রাজ্য সরকার। খবর ডয়চে ভেলে।

বিজ্ঞাপন

কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ছত্তিশগড় সরকার চিঠি লিখে বিজেপি নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রকে জানিয়েছে, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাকসিন যেন তাদের রাজ্যে সরবরাহ করা না হয়। কারণ ওই ভ্যাকসিন নিয়ে তাদের সন্দেহ আছে।

পাল্টা চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, কোভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, ছত্তিশগড় ভ্যাকসিন কার্যক্রমে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে।

ভারতে বেশ কিছুদিন হলো ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দুইটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের। এদের একটি অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড যা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদন করছে। অন্যটি হলো ভারতে উদ্ভাবিত কোভ্যাকসিন। ভারত-বায়োটেক এই ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের সঙ্গে জড়িত। প্রথম থেকেই কোভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অভিযোগ, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আগেই এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভারত-বায়োটেকের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হলেও অনেকেই সেই ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না।

বিজ্ঞাপন

তবে, এই প্রথম কোনো রাজ্য চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কোভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ করার আবেদন জানালো। ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস দেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন। চিঠিটি দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা টুইটারেও প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই ভ্যাকসিন নিয়ে মূলত দুইটি সমস্যা। এক, ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হয়নি। ফলে কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। দুই, এক্সপেয়ারি ডেট বা কতদিন ভ্যাকসিনটি কার্যকর থাকবে তা ভ্যাকসিনের গায়ে লেখা নেই।

চিঠির উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তিনি লিখেছেন, কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ নিরাপদ। যদিও কীসের ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিনকে তিনি নিরাপদ বলছেন, তার ব্যাখ্যা দেননি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের গায়ে ম্যানুফ্যাকচারিং ডেটও লেখা আছে।

ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ছত্তিশগড়ে এখনো পর্যন্ত মাত্র নয় দশমিক পাঁচ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। অর্থাৎ, দুই লাখ নয় হাজার ৫১২ জন ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় এসেছে। অন্য রাজ্যগুলিতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম অনেক দ্রুত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ছত্তিশগড়ে এখন রাজ্য ক্ষমতায় কংগ্রেস। সে কারণেই কেন্দ্র-রাজ্য এই সংঘাত শুরু হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। চিকিৎসকদের মধ্যেও কোভ্যাক্সিন নিয়ে দ্বিমত আছে।

এ ব্যাপারে চিকিৎসক পার্থ প্রতিম বোস ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছিলেন, দুইটি ভ্যাকসিনই ভালো। তবে তিনি নিজে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়েছেন।

চিকিৎসক সাত্যকি হালদার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, কোভ্যাকসিন নিয়ে নানা বিতর্ক আছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল না হলে সেই ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। সে কারণেই বহু চিকিৎসকও কোভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন