বিজ্ঞাপন

আগের তুলনায় মশা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে: শেখ তাপস

March 10, 2021 | 9:30 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস জানিয়েছেন, আগের তুলনায় মশা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভবিষ্যতেও আরও নিয়ন্ত্রণে আসবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে নগরীর ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীবাজার এলাকায় ‘লক্ষ্মীবাজার খেলার মাঠ’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত হচ্ছে, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেইসঙ্গে খালগুলোর পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মশক নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। আগের তুলনায় মশা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগামীতে ডিএসিসি এলাকায় ইনশাআল্লাহ্‌ মশা আরও নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস বলেন, ফ্লাইওভারের নিচের জায়গাগুলো ব্যাপকভাবে দখল অবস্থায় আছে। অব্যবস্থাপনা আছে, ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর। বিভিন্ন মহল সেগুলো দখল করে বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা করছে। আমরা সেগুলো পর্যায়ক্রমে দখলমুক্ত করব, যেন যান চলাচল করতে পারে। সে ব্যবস্থা আমরা করব। খোলামেলা পরিবেশ যেন থাকে, সে ব্যবস্থা আমরা করব।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আজ থেকে আমরা নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চৌরাস্তাগুলোতে আমাদের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজাচ্ছি, আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া নিয়েছি। আজ মগবাজার চৌরাস্তা থেকে আমরা এই কার্যক্রম শুরু করলাম।

খেলার মাঠ প্রসঙ্গে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা এরই মধ্যে ৭, ১৩, ২৭ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে জায়গা চিহ্নিত করেছি। সেখানে আমরা সন্তানদের জন্য উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠের ব্যবস্থা করব।

সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এর আগে ডিএসসিসি মেয়র মগবাজার চৌরাস্তায় মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নিচের বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেন ও বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন। পরে তিনি মগবাজার চৌরাস্তা থেকে হেঁটে হেঁটে রমনা থানা পর্যন্ত ঘুরে দেখেন এবং বেশ কয়েকটি জায়গায় দাঁড়িয়ে যানজট নিরসনে নির্দেশনা দেন।

বিজ্ঞাপন

মাঠ উদ্বোধনের পরে ডিএসসিসি মেয়র মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চলমান রাস্তা নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করেন এবং এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে তা আগামী ২২ তারিখের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর সাধারণ আসন ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, অঞ্চল-৪-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুন্সী মোহাম্মদ আবুল হাসেম, কাজী মো. বোরহান উদ্দিন ও মো. খায়রুল বাকের উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন