বিজ্ঞাপন

বিধিনিষেধ উপেক্ষা, ঈদ আমেজে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ

April 13, 2021 | 9:39 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ শুরুর আগেই সামাজিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকার প্রতিটি প্রান্তে দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। করোনা নিয়ন্ত্রণে নয়, মনে হচ্ছে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে মানুষ ছুটছে বাড়ির দিকে।

বিজ্ঞাপন

এদিন ভোর থেকেই দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। এমনিতেই আগে থেকে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তারওপর পদ্মার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা নদী পার হচ্ছে ফেরিযোগে। এদিকে লঞ্চ বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রীকে ট্রলারযোগেও নদী পারি দিতে দেখা গেছে।

ঘাট এলাকায় হাজারের অধিক ব্যক্তিগত ও শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন অবস্থান করছে। এসব যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ। এদিকে করোনার কারণে বেকার হয়ে অনেককে পরিবার ও আসবাবপত্রসহ পিকআপযোগে ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে।

দিনভর পাটুরিয়া ঘাটে ছোট যানবাহন আর মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহনে মানুষ চলছে বাড়ির পথে। শতশত প্রাইভেটকার আর মাইক্রোবাসের সারি সারি লাইন ঘাট ছাড়িয়ে কয়েক কিলোমিটার চলে যায়। গাড়িগুলোকে ফেরিতে উঠতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। ফেরির যাত্রীরা কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব নামছে না। গাদাগাদি করেই গম্তব্যে যাত্রা তাদের।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নিজ উদ্যোগে গাড়ি ভাড়া করে কিংবা ট্রাক, পিক-আপ কিংবা মিনিবাসে করেই রওনা হচ্ছে অনেকে। তাই টার্মিনালগুলোর সামনেও উপচে পড়া ভিড়। কেউ কেউ সবজি ও মালামাল বহনকারী ট্রাক, পিকআপে গাদাগাদি অবস্থায় বাড়ি যাচ্ছেন।

মহাখালি বাস টার্মিনালে গিয়ে কথা হয় ময়মনসিংহগামী সুদীপ বসুর সঙ্গে। এই অবস্থায় কেন বাড়ি যাচ্ছেন?- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় সংক্রমণ অনেক বেশি। নিজেকে সেফ রেখেই যাচ্ছি। বাড়ি গিয়ে কিছুদিন মানসিক শান্তিতে থাকা যাবে।’

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যাবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, সকালের দিকে ১৪টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। লকডাউনের আংশকায় যাত্রীরা বাড়ি ফিরছে। পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনগুলো পর্যায়ক্রমে পার করা হচ্ছে। তবে ছোট গাড়ি সংখ্যায় বেশি।

বিজ্ঞাপন

বিআইডাব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার পর থেকে কয়েকদিন ধরেই পাটুরিয়া ঘাটে ছোট গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেড়েছে। পাশাপাশি রয়েছে যাত্রীদের প্রচুর চাপ। ১৬টি ফেরি দিয়ে এসব গাড়ি ও যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। তবে যাত্রীরা সামাজিক দূরুত্ব না মেনেই ঘাট পার হচ্ছে।

সারাবাংলা/এসএসএ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন