বিজ্ঞাপন

৪০৪ দিনে মৃত্যু ছাড়াল ১০ হাজার, শেষ ১ হাজার ১৫ দিনে

April 15, 2021 | 10:46 pm

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেখতে দেখতে দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা পেরিয়ে গেল ১০ হাজার। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রথম মৃত্যুর সাক্ষী হয় বাংলাদেশ। এরপর সেই প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের ৪০৪ দিনের মাথায় এসে মৃত্যু ছাড়াল ১০ হাজারের ঘর।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ৩১ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু ৯ হাজার পেরিয়েছিল। সে হিসাবে গত মাত্র ১৫ দিনে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে এত কম সময়ের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একহাজার মানুষের মৃত্যু হয়নি।

স্বাভাবিকভাবেই গত এই দুই সপ্তাহ সময়ে আলাদা আলাদাভাবে প্রায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যেই একদিনে সর্বোচ্চ ৯৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে গতকাল বুধবার (১৪ এপ্রিল)। আর এই সময়ের মধ্যে কোনোদিনই মৃত্যু ৫০-এর নিচে নামেনি। সর্বনিম্ন ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল গত ২ এপ্রিল। ৫০-এর ঘরে মৃত্যু ছিল আরও চার দিন। মৃত্যু ষাটের ঘরে ছিল চার দিন, সত্তরের ঘরে তিন দিন। একদিন আশির ঘরে এবং শেষ দুই দিন মৃত্যু ছিল নব্বইয়ের ঘরে।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এর মাধ্যমেই ১০ হাজার মৃত্যু পেরিয়ে গেল বাংলাদেশ। শেষ ২৪ ঘণ্টায় এই ৯৪ জনের মৃত্যু একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুরও রেকর্ড।

বিজ্ঞাপন

কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুর পরিসংখ্যান

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ১০ হাজার ৮১ জন মারা গেলেন এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে। দেশে একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু ঘটেছে যে সাত দিনে, তার সবগুলো দিনই এই এপ্রিলেরই। সুনির্দিষ্টভাবে বলছে, এই সাত দিনের মধ্যে ছয় দিনই সবশেষ এক সপ্তাহের।

২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল: এদিন দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে ৯৬ জন মারা যান। এখন পর্যন্ত একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটিই।

বিজ্ঞাপন

২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল: এদিন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে মারা যান ৯৪ জন। এখন পর্যন্ত এটি একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।

২০২১ সালের ১২ এপ্রিল: এই দিনে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একদিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮৩ জন করে মারা গিয়েছিলেন।

২০২১ সালের ১১ এপ্রিল: দেশে এদিন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা যান ৭৮ জন, যা এখন পর্যন্ত একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

২০২১ সালের ১০ এপ্রিল: এদিন দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা যান ৭৭ জন। দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে দিনটি।

বিজ্ঞাপন

২০২১ সালের ৮ এপ্রিল: এদিন ৭৪ জন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মারা যান দেশে, যা একদিনে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ।

২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল: এদিন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা যান ৬৯ জন, যা একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে সপ্তম স্থানে।

করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু যেভাবে ১০ হাজার ছাড়াল

দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ। সেদিন একজনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ব্রিফিংয়ে। প্রায় একমাস পর ১৫ এপ্রিল করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা স্পর্শ করে ৫০-এর ঘর। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০১ জন।

একমাস পাঁচ দিন পর ২৫ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় পাঁচশ। ১৫ দিনের মাথায় ১০ জুন এই সংখ্যা স্পর্শ করে হাজারের ঘর। সে হিসাবে দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্তের ৯৫ দিনে করোনায় মৃত্যু স্পর্শ করে হাজারের ঘর।

এর ২৫ দিনের মধ্যেই আরও একহাজার মৃত্যুর কারণ হয় করোনা। ৫ জুলাই দুই হাজার ছাড়িয়ে যায় মৃত্যু। এর পরের এক হাজার মৃত্যু হয় আরও দ্রুত— মাত্র ২৩ দিনে। ২৮ জুলাই তিন হাজারের ঘর ছাড়িয়ে যায় করোনায় মৃত্যু।

দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম হাজার মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে সময় লাগে ২৮ দিন করে। ২৫ আগস্ট চার হাজার ও ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যায় মৃত্যু। এরপর করোনা সংক্রমণ নিয়ে ‍মৃত্যুর গতি সামান্য কমে যায়।

২২ সেপ্টেম্বরের ৪৩ দিন পর ৪ নভেম্বর ছয় হাজার, এর ৩৮ দিন পর ১২ ডিসেম্বর সাত হাজার এবং এর ৪২ দিন পর ২৩ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু পেরিয়ে যায় আট হাজারের ঘর।

এরপর করোনায় মৃত্যুর গতি বেশ ধীর হয়ে পড়ে। আট হাজারের পর ৯ হাজারের ঘরে যেতে সময় লাগে দুই মাসেরও বেশি— ৬৭ দিন। এ বছরের ৩১ মার্চ দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা পেরিয়ে যায় ৯ হাজার।

এর আগে মধ্য মার্চ থেকেই করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছিল। এপ্রিলের এসে তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এপ্রিলের আগে যেখানে গত একবছরেরও বেশি সময়ে মাত্র ৯ দিন মৃত্যু পেরিয়েছিল ৫০-এর ঘর, সেখানে এপ্রিলের ১৫ দিনের মধ্যে একদিনও মৃত্যু ৫০-এর নিচে নামেনি। বরং আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সত্তর, আশির ঘরও পেরিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ৯৬ জনের মৃত্যুও দেখেছে বাংলাদেশ। আর সে কারণেই এই ১৫ দিনেই করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৩৫ জনের। অর্থাৎ এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন মারা গেছেন ৬৯ জন করে, যেখানে গেল মার্চে আগে গত একবছর সময়ের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডই ছিল ৬৪ জন (২০২০ সালের ৩০ জুন)।

বয়সভিত্তিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে যে ১০ হাজার ৮১ জন মারা গেছেন, তাদের অর্ধেকেরও বেশি ষাটোর্ধ্ব, আর সবচেয়ে কম মারা গেছে নবজাতকসহ অনূর্ধ্ব-১০ বছর বয়সীরা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত ১০ হাজার ৮১ জনের মধ্যে পাঁচ হাজার ৬৭৫ জনই ষাটোর্ধ্ব। অর্থাৎ করোনায় মোট মৃত্যুর ৫৬ দশমিক ২৯ শতাংশই এই বয়সী। এছাড়া ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২ হাজার ৪৮০ জন (২৪ দশমিক ৬০ শতাংশ) ও ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী এক হাজার ১২৫ জন (১১ দশমিক ১৬ শতাংশ) মারা গেছেন করোনা সংক্রমণ নিয়ে।

মৃত্যুর হার কম বয়সীদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে কম। এর মধ্যে নবজাতক থেকে শুরু করে ১০ বছর বয়সসীমার মধ্যে মারা গেছে ৪০ জন (শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী মারা গেছে ৭১ জন (শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ)। এছাড়া করোনা সংক্রমণ নিয়ে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১৯২ জন (১ দশমিক ৯০ শতাংশ) ও ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৪৯৮ জন (৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ) মারা গেছেন।

বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান

এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৮৫৪ জন, যা মোট মৃত্যুর ৫৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এক হাজার ৮০৮ জন মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগে, এই বিভাগে মৃত্যুর হার মোট মৃত্যুর ১৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ।আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬২৮ জন মারা গেছেন খুলনা বিভাগে, মোট মৃত্যুর শতকরা হার ছয় দশমিক ২৩ শতাংশ।

এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫৪১ জন (পাঁচ দশমিক ৩৭ শতাংশ), রংপুর বিভাগে ৩৯১ জন (তিন দশমিক ৮৮ শতাংশ), সিলেট বিভাগে ৩৪৬ জন (৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ), বরিশাল বিভাগে ৩০১ জন (দুই দশমিক ৯৯ শতাংশ) ও ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ২১২ জন (২ দশমিক ১০ শতাংশ)।

এ পরিস্থিতিতে করণীয় কী

চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যায় ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে প্রায় মাসখানেক হলো। তবে এই সময়ে কিন্তু সংক্রমণও অনেক বেড়েছে। সার্বিকভাবে সংক্রমণের বিপরীতে মৃত্যুর হার কিন্তু এই সময়ে বরং কমেছে। গত ১৫ দিনের হিসাবই যদি ধরা হয়, শনাক্তের বিপরীতে মৃত্যুর হার ১ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি। আর এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণে গড় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ। ফলে এটা বলা যায়, সংক্রমণের পরিমাণ যত বাড়বে, মৃত্যুও তত বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, সংক্রমণ বাড়লেই বয়স্ক মানুষদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়বে। যারা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত, তাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। আর বয়স্ক এবং এ ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত হলে বরং মৃত্যুর হার আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। তাই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধ কতটা কাজে আসবে— জানতে চাইলে আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মোশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, মাত্র দুই দিন হয়েছে, এর মধ্যে একদিন সরকারি ছুটি ছিল। কালও (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটি। তবে খবরে যতটুকু দেখেছি, রাস্তায় গাড়ি কম থাকলেও অনেক মানুষ জরুরি কাজের অজুহাতে বের হচ্ছেন। কারা প্রকৃতই জরুরি কাজে বের হচ্ছেন, তাদের চিহ্নিত করে বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাছাড়া এই কথিত লকডাউন কার্যকর হওয়ার আগে অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। তাদের মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকি গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে গেছে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে এই সময়ের প্রভাব আসলে বোঝা যাবে আরও সপ্তাহখানেক পর। তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

তবে বিধিনিষেধ থাকুক না থাকুক, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেকেকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি ফের মনে করিয়ে দিলেন কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। ভ্যাকসিন দেওয়া হোক, লকডাউন দেওয়া হোক বা আর যাই কিছু করা হোক না কেন— যে বা যারা মাস্ক পরবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে, তাদের কিন্তু সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কম। আবার তারা নিজেরা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও তাদের কাছ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকিও কম থাকবে। প্রত্যেককেই যদি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করানো সম্ভব হয়, তাহলেই কেবল সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন