বিজ্ঞাপন

করোনা সংকট কাটাতে পরিবার পরিকল্পনা খাতে বিশেষ গুরুত্বের তাগিদ

April 28, 2021 | 9:39 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারাসহ সংসদ সদস্যরা বলছেন, করোনাকালের সংকট কাটিয়ে উঠতে আগামী বাজেটে পরিবার পরিকল্পনা খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি বরাদ্দ দেওয়া অর্থের যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত করতে মনিটরিং কার্যক্রমও জোরদার করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৮ এপ্রিল) ‘করোনাকালে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও বাজেট বরাদ্দ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। পার্লামেন্টনিউজবিডি ডটকম ও টিম অ্যাসোসিয়েটস যৌথভাবে এই সংলাপ আয়োজন করে। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন পার্লামেন্টনিউজবিডি’র সম্পাদক সাকিলা পারভীন।

সংলাপে সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নারীর সব ধরনের অধিকার নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার প্রযোজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা সেবা দিতে সারাদেশে প্রায় ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও মাঠকর্মীরা কাজ করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চলছে। এক্ষেত্রে বিশেষ সফলতাও রয়েছে। তবে সরকারের সেবা যেনজনগণের কাছে যথাযথভাবে পৌছায়, সে জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আগামী বাজেট প্রণয়ন করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

করোনাকালে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া আহ্বান জানান পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের দায়িত্ব জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আর সরকারের দায়িত্ব হবে তাদের সুরক্ষা দেওয়া। এ জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি কার্যকর মনিটারিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এই খাতে বরাদ্দ অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মেরি স্টোপসের অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার মনজুন নাহার বলেন, মহামারি করোনার আঘাতে পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত মাতৃমৃত্যুসহ প্রসবকালীন দুর্ঘটনা গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ফলে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। সরকার তাৎক্ষণিকভাবে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়। তারপরও কিছু সংকট রয়েছে। আগামীতে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সেবাগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদানের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও এই খাতে বাজেট বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সংলাপে বক্তারা করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সম্মিলিত কাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, করোনাকালে শিশুর জন্ম ও পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রজনন স্বাস্থ্যসেবাকে ডিজিটালাইজ করতে হবে। মা ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য জীবন রক্ষাকারী সেবা ও জোগানের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে।

সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন টিম অ্যাসোসিয়েটের টিম লিডার পুলক রাহা, সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার (স্কাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সহসভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির জেলা কর্মকর্তা অরুন কুমার শীল, স্কান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, ডিআরইউ’র নারী বিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার, সাংবাদিক শরফুল আলম ও সাজিদা ইসলাম পারুল।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন