বিজ্ঞাপন

‘করোনায় মৃত্যু হলে সব শ্রমজীবীকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূণ দিতে হবে’

May 1, 2021 | 12:32 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ব্যাংকের কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনায় আক্রান্ত হয়ে অন্যান্য পেশাজীবীর মৃত্যুতেও তাদের পরিবারের জন্য ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষণা দিয়েছে— ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় মারা গেলে তাদের ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিক, পুলিশ, পোশাক শ্রমিকসহ সব শ্রমজীবী মানুষের ক্ষেত্রেই সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

শনিবার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় শ্রমিক দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার হরণ করা হয়েছে অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে শ্রমজীবী মানুষ যতক্ষণ সুস্থ থাকে, ততক্ষণ তারা আট ঘণ্টার বেশি কাজ করে। কিন্তু তাদের পক্ষে কথা বলা জন্য যে ট্রেড ইউনিয়ন, তার অধিকার অনেক জায়গায় হরণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেওয়া হচ্ছে না, তাদের দাবিও মেনে নেওয়া হচ্ছে না। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে মে দিবস পালন করা হচ্ছে। শ্রমিকদের দাবি কেন তাহলে মেনে নেওয়া হচ্ছে না? আমি তাদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, করোনার সময় রেশনিং ব্যবস্থা এবং ন্যায্য মূল্যে শ্রমিকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রদানের দাবি করছি। সবসময় এ ব্যবস্থা চালু রাখা না গেলেও এই করোনা মহামারির সময় রেশনি এবং ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনার ব্যবস্থা অবশ্যই চালু থাকা উচিত।

সরকার শ্রমজীবীদের পাশে দাঁড়ায়নি উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজ করোনার কারণে অনেক শ্রমিক ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়েছে। কিন্তু তাদের পাশে সরকার দাঁড়ায়নি। অথচ এই শ্রমজীবী মানুষ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত জাতীয় আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তারা ভূমিকা রেখেছে। আজ জাতীয় শ্রমিক দলের পক্ষে এই সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়ান।

বিজ্ঞাপন

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে শ্রমিক দলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে। শুধু তাই নয়, আমাদের জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলেই এ দেশে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দাবি বাস্তবায়ন হবে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক দলের নেতা ফিরোজ জামান মোল্লা, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, ইমরান সালেহ প্রিন্সসহ অন্যরা। সমাবেশ শেষে শ্রমিক দল একটি র‌্যালি বের করে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন