বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে ব্যয়বহুল সড়কে টোল ছাড়া যানবাহন আর কতদিন?

June 24, 2021 | 11:27 am

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। ৫৫ কিলোমিটার এই মহাসড়কে কোনরকম সিগন্যালের বাধায় পড়তে হয় না যানবাহনগুলোকে। এছাড়া এই মহাসড়কটিতে ৭০-৮০ কিলোমিটার গতি যেন স্বাভাবিক। তাই-আগের দুর্বিসহ সব দুর্ভোগ ভুলে অনেকটা স্বস্তি পায় এই পথের যাত্রীরা। এছাড়া এই এক্সপ্রেসওয়েটি যেন বিদেশের নয়নাভিরাম কোনো সড়ক পথ। যেখানে কোলাহল কিংবা যানজটের কোনো চিত্রই দেখা যায় না। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এই মহাসড়কটিতে মূল সড়কের দু’পাশে ছোট যানবাহনের জন্য রয়েছে দুটি-দুটি করে চারটি সার্ভিস লেন। যার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমেছে।

বিজ্ঞাপন

এই একপ্রেসওয়েটি দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক। যেখানে কিলোমিটার প্রতি ব্যয় হয়েছে ২০০ কোটি টাকার বেশি। তবে এই পথে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে গুনতে হবে টোল। কিন্তু একপ্রেসওয়েটিতে এখনও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শেষ না হওয়ায় টোল আদায় পিছিয়ে যাচ্ছে। এর আগে ১ জুলাই থেকে টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত হলেও কাজ শেষ না হওয়ায় চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে টোল আদায় করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্র জানায়, সিদ্ধান্ত ছিল আগামী ১লা জুলাই থেকে এই এক্সপ্রেসওয়ে থেকে টোল আদায় শুরু হবে। কিন্তু নদীর ওপারে মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে টোল প্লাজার কাজ শেষ না হওয়ায় আপাতত তা পিছিয়ে যাচ্ছে। সব প্রস্তুতি শেষে আসছে ডিসেম্বর থেকে টোল আদায় শুরু করা যাবে।

এদিকে অবকাঠামো নির্মাণ শেষ না হলেও এরইমধ্যে যানবাহনের ধরণ অনুযায়ী টোল নির্ধারণ করেছে মহাসড়ক বিভাগ। পুরো এক্সপ্রেসওয়েতে যাতায়াতের জন্য ভারী ট্রাক থেকে ১১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক থেকে ৫৫০ টাকা, বড় বাস থেকে ৪৯৫ টাকা, ছোট ট্রাক থেকে আদায় করা হবে ৪১২ টাকা করে। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে মিনিবাস ১৭৫ টাকা, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপকে ২২০ টাকা, সেডান কারকে ১৩৭ টাকা ৫০ পয়সা এবং মোটরসাইকেলকে গুনতে হবে ২৭ টাকা ৫০ পয়সা।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ঢাকা জোনের) সবুজ উদ্দিন খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘টোল আদায়ে নদীর ওইপাড় তথা ভাঙ্গা অংশের অবকাঠামো নির্মাণ এখনও শেষ হয়নি। এক কথায় বুথ এবং টোল প্লাজা নির্মাণ কাজ এখনও চলমান। ফলে নির্ধারিত সময়ে আমরা টোল আদায় চালু করতে পারছি না। তবে জুলাইয়ে না পারলেও ডিসেম্বর নাগাদ চালু করতে পারব।’

জানা যায়, গত বছরের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে। তবে মহাসড়কটিতে এখনও কোনো টোল দিতে হচ্ছে না। তবে এক্সপ্রেসওয়ের মধ্যে থাকা ধলেশ্বরী সেতু-১, ধলেশ্বরী সেতু-২ ও আড়িয়াল খাঁ সেতু থেকে টোল আদায় করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মে মাসে ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুই লেনের ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার এই প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। সেজন্য খরচ ধরা হয় ৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়। তবে ফের এক্সপ্রেসওয়ের জন্য আরেকটি প্রকল্প নেওয়া হয়। তখন সব মিলিয়ে খরচ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৩ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/পিটিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন