বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ এশিয়ার হালাল ফুডের চাহিদা মেটানো সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী

June 24, 2021 | 9:02 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রফতানি পণ্য বহুমুখী করার চেষ্টা বাংলাদেশ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী হালাল ফুডের যে বাজার তৈরি হয়েছে, তার একটি অংশ বাংলাদেশ ধরতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে হালাল ফুডের একটি বড় বাজার তৈরি হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্ববাজারে প্রায় ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের হালাল পণ্যের বাজার তৈরি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হালাল ফুড উৎপাদন করতে সক্ষম। সিঙ্গাপুরের নতুন প্রযুক্তি ও সহযোগিতা হালাল ফুড উৎপাদনে সহায়ক হবে। হালাল ফুড উৎপাদনে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতেও কাজ করতে পারে। মিউচুয়াল রিকগনিশন, সার্টিফিকেশন ও কোয়ালিটি নিশ্চিত করে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হালাল ফুডের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ‘স্পটলাইট বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সিঙ্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড মিনিস্টার ইন চার্জ অব ট্রেড রিলেশনস এস ইসওয়ারানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় সিঙ্গাপুরের ট্রেড রিলেশনস মিনিস্টার যৌথভাবে বাংলাদেশে হালাল ফুড উৎপাদন, বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের অভিজ্ঞতা শেয়ার এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানার আগ্রহের কথা জানান।

আলোচনায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘ভিশন-২০২১’ সফল করার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্যে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে পেপারলেস ট্রেডে সক্ষমতা অর্জন করছে। এ জন্য বাংলাদেশ ইউএনএস্ক্যাপে চুক্তি সই করেছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছে। বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যে দক্ষতা অর্জন করে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র এবং কর্মসংস্থান তৈরি করছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ বা পিটিএ সইয়ের মতো বাণিজ্য চুক্তি করে বাণিজ্য সুবিধা নিতে চেষ্টা করছে। সিঙ্গাপুর এমন অনেক বাণিজ্যচুক্তি করেছে, যার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। এতে করে বাংলাদেশ বাণিজ্য চুক্তির সময় দরকষাকষির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবে।

দেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে বিশ্বে যে ২০টি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ তার একটি। বিদেশি বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ (বিডা) দেশে বিনিয়োগ সহজ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করছে, যেন বিনিয়োগকারীরা সহজেই ব্যবসাবান্ধ পরিবেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। তাছাড়া, ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে, যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা যায়।

টিপু মুনশি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন আমদানি ও রফতানি অফিস, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যন্ড ফার্মসের অফিস, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সেবা প্রদান ডিজিটাল করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি-রফতানি সহজ করতে ন্যাশনাল সিংগেল উইন্ডো চালু করেছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন