বিজ্ঞাপন

করোনা হেল্প সেন্টারে জেডআরএফ ও ড্যাবের ওষুধ-সামগ্রী হস্তান্তর

August 8, 2021 | 6:27 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপির ‘করোনা হেল্প সেন্টারে’ ওষুধ-সামগ্রী, অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইরাজ দিয়েছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৮ আগস্ট) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব হস্তান্তর করেন সংগঠন দু’টির নেতারা। এ সময় করোনার ওষুধপত্র, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া জন্য জেডআরএফ ও ড্যাবের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে তিন দিন আগে ব্যানার টাঙানো হয়েছে যে, সেখানে কোনো বেড খালি নেই, অক্সিজেন নেই, ওষুধ নেই, ভর্তির কোনো সুযোগ নেই।’

২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের জন্য যারা আবেদন করেছিলেন তাদের বিএনপির জেলা হেল্প সেন্টারগুলোতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে বিএনপির করোনা পর্যবেক্ষণ জাতীয় কমিটির আহবায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আমরা দেশের ৭০টি জায়গা কাজ করছি। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন যে, আমাদের দেখা যায় না। উল্টো উনার রাজনৈতিক দল মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না।’

‘ওরা কী করছে? ভ্যাকসিনে ভাগ বসাচ্ছে। দলের লোকদের লাগাইয়া দিছে, ওখানে ভাগ বসাচ্ছে। এমনো রিপোর্ট আছে টোকেন দিয়ে ভাগ বসাচ্ছে, সেই টোকেনে তারা মানুষের কাছ থেকে পয়সা নেয়। গণমাধ্যমে এসব খবর এসেছে। শুধু তাই নয়, তারা ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনে পয়সা নিচ্ছে। এসব ব্যবসা তারা করছে। সব জায়গায় তারা বাণিজ্য করেছে। এখানেও বাণিজ্য শুরু করছে’— বলেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

তিনি বলেন, ‘প্রথমে বলেছে গণটিকা সাতদিন। এখন বলছে তিন দিন। আমরা দাবি করে আসছি যে, আপনারা একটা ফুল চার্ট দেন। এত ভ্যাকসিন মজুদ আছে, পাইপলাইনে এত আছে, প্রতিদিন এত ভ্যাকসিন দেব। তাহলে জনগণ স্বস্তি পাবে। কিন্তু সরকারের কোনো রোডম্যাপ জনগণ জানে না, সাংবাদিকরাও জানে না।’

বিজ্ঞাপন

টুকু বলেন, ‘আমরা বৃটেন ও ভারতে দেখেছি তাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটা ফুল চার্ট দিয়েছে যে, আমার কাছে এই স্টক আছে, আমি কোভ্যাক্স থেকে এত পাচ্ছি, আমি দিনে এত লাখ ভ্যাকসিন দেব। দেখেন ভারতে মন্ত্রিসভার রদবদলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর চাকুরি চলে গেছে। আর আমাদের এখানে আপনারাই দেখছেন।’

করোনায় বিএনপির কার্য্ক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনার প্রকোপ বেশি হওয়ার কারণে আমরা মনে করেছি যে, মানুষকে করোনা চিকিৎসা ও ওষুধপত্র দেওয়া জরুরি। গরিব মানুষের পক্ষে এটা বহন করা সম্ভব হয়। সেজন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, করোনা হেল্প সেন্টার স্থাপন করে মানুষের পাশে থাকব। এখন পর্যন্ত আমরা জেলা ও মহানগরর মিলিয়ে ৭০টি সেন্টার খুলতে পেরেছি।’

টুকু বলেন, ‘যদিও নির্দেশ নাই তারপরও আমাদের নেতাকর্মীরা থানা-উপজেলায়ও করোনা হেল্প সেন্টার খুলেছে। আমরা জেলা থেকে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করছি ওষুধপত্র দিয়ে। প্রত্যেকদিন আমাদের সেন্টারগুলোতে মানুষের চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে অক্সিজেনের সিলিন্ডার। ইউনিয়ন লেভেলেও আমাদের অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠাতে হচ্ছে। আমরা অসহায় মানুষের জন্য সবধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। করোনার প্রকোপ না কমা পর্যন্ত আমাদের এই কার্য্ক্রম চলবে।’

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা এম এ সেলিম, জহিরুল ইসলাম শাকিল, মেহেদী হাসান, ফখরুজ্জামান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, শামীমুর রহমান শামীম, মাহবুব আলম চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন নসু, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন